কদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সফরে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখান থেকে সাধারণ মানুষকে অভয় দিয়েছিলেন, তিনি আছেন সকল মানুষের জন্য। কোনও সমস্যায় তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন। কথাটা কতটা সত্য? এই প্রশ্নের উত্তর কাজে করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তো একজন সাধারণ গাড়ি চালক নিজের ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা নিয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেন। আর তার পরই ঘরে জ্বলল আলো।
এমন ঘটনা যে ঘটবে তা কল্পনা করতে পারেননি আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার বাসিন্দা নির্মল দাস। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যা এক ফোনেই সমাধান হয়ে গেল। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতেই বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেন। মে মাসের ৬ তারিখে বিদ্যুৎ বিভাগের কামাখ্যাগুড়ি অফিস থেকে নির্মল দাসকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বিদ্যুতের লাইনের বাকি থাকা কাজ শেষ হবে। আর তাঁকে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে। নিজে চোখেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এই সক্রিয়তা দেখে খুব খুশি নির্মল দাস।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় রেল অবরোধ, ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে
এদিকে এত শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে চলেছেন জানতে পেরে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্মল দাস মুখ্যমন্ত্রীকে। নির্মলবাবু জানান, বহুদিন ধরেই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তার জন্য নানা চেষ্টা করেছেন তিনি। বারবার জেলার বিদ্যুৎ দফতরেও গিয়েছেন। জুতোর শুকতলা খোয়ে গিয়েছে। তাও মেলেনি বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসাররা তাঁর বাড়ি পরিদর্শন করে জানান, তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছতে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি লাগবে। আর সেটা সময় সাপেক্ষ। নির্মলবাবু বারবার বিদ্যুৎ দফতরের কামাখ্যাগুড়ির অফিসে গেলে সেখানে এক দালাল তাঁকে টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।