বিস্ফোরক দাবি করলেন মার্কিন ধনকুবের তথা আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-র প্রধান ইলন মাস্ক। তিনি দাবি করেছেন, সংস্কারের কাজে নিজেকে যুক্ত করার পরেই ক্রমাগত মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন। এছাড়াও, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান ঘাটতি মোকাবিলা না করা হলে আগামিদিনে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন ইলন মাস্ক। সেখানেই তিনি এই দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক চালু করতে মরিয়া ইউনুস সরকার! চিঠি মাস্ককে
ডিওজিইয়ের লক্ষ্য হল যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো। এর জন্য কাজ করার পর থেকেই খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে দাবি করেন মাস্ক। বিশেষ করে মাস্কের ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপের পর সরকারি কর্মীদের একাংশ তাঁর বিরোধিতায় তীব্র প্রতিবাদ করেন। চলতি সপ্তাহে বিভাগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রযুক্তি কর্মী পদত্যাগ করেছেন। তারপরই হুমকির বিষয়টি সামনে আসে। ইতিমধ্যেই মাস্ককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিন, মন্ত্রিসভায় ট্রাম্প মাস্ককে দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা করতে বলেন যে তাঁর বিভাগ কীভাবে কাজ করছে? তখন মাস্ক এই মন্তব্য করেন। ইলন মাস্ক মজা করে নিজেকে সরকারি টেক সাপোর্ট বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যতই হাস্যকর শোনাক না কেন, আক্ষরিক অর্থে ডিওজিই টিম যে কাজটি করছে, তা হল সরকারি কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করতে সাহায্য করার মতো। এই সিস্টেমগুলির অনেকগুলি বেশ পুরানো। সিস্টেমগুলিতে অনেক ভুল রয়েছে। সফটওয়্যার কাজ করছে না। তাই, আমরা আসলে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকি।’
এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল, আমেরিকার ক্রমবর্ধমান ঘাটতি কমানো। যদি আমরা এখনই পদক্ষেপ না করি, তাহলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। ইলন মাস্কের দাবি, আমেরিকা আরও ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি বহন করতে পারবে না।’ ইলন মাস্ক বলেন, ডিওজিই ভুল করলে তা খুব দ্রুত তা ঠিক করে ফেলতে পারে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইবোলা প্রতিরোধ কর্মসূচি ভুলবশত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা অবিলম্বে পুনরায় চালু করা হয়েছে।’
মাস্ক আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ঘাটতি এক ট্রিলিয়ন ডলার কমানো। এর জন্য প্রতিদিন ৪ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে হবে। আমরা এটা করতে পারি এবং করব।’ অন্যদিকে, মাস্কের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তোমায় পেয়ে আমি সম্মানিত। তিনি অসাধারণ একজন সফল ব্যক্তি। সত্যিই অনেক পরিশ্রম করেছেন। অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছ। কিছু মানুষ তাঁর সঙ্গে একমত নন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খুব খুশি।’