গতবছরের রেকর্ড ভাঙল এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। মেলায় এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লক্ষ ত𓆏ীর্থযাত্রী এসেছেন। তার মধ্যে সবথেকে ♕বেশি তীর্থযাত্রী এসেছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা এবং প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকে। মাঘী পুর্ণিমা পর্যন্ত পুণ্যস্নান চলবে। সেক্ষেত্রে আরও বহু তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগরে আসবেন বলে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মেলায় আসা তীর্থযাত্রীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে চারজনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। মোট ৯ জনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতার নানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেন, গঙ্গাসাগর মেলা কর্মসূচি সফল হয়েছে। আর এবার সব রেকর্ড ছাপিয়ে পুণ্যার্থীর সংখ্যাও ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এদিকে ২০২৫ সালের গঙ্গাসাগরে রেকর্ড ভিড় হবে বলে আগেই দাবি করেছিল রাজ্য সরকার। আর বুধবার দিনই সংখ্যাটা ১ কোটি ছুঁয়ে ফেলল। অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘সেই সংখ্যা পার হয়েছে। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ কোটি ১০ লক্🍨ষ পুণ্যার্থী এবার পূণ্যস্নান করে গিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। তবে এত ভিড়ের মধ্যেও ভক্তদের সুরক্ষায় কড়া নজর রেখেছিল রাজ্য সরকার। কারও কোনও সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ গঙ্গাসাগর মেলার শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হন অরুপ বিশ্বাস। একহাত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকেও। রাজ্য এই মেলা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পালটা আক্রমণ অরুপ বিশ্বাসের। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘রাজ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য না পাওয়াতে তার মাথা ঠিক নেই।’
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কারের খসড়া প্রতিবেদন জমা পড়ল, সবটা মানবে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার?
অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের সহায়তায় ১৪২টি সমাজসেবি সংগঠনের ১০ হাজারের বেশি সমাজসেবক দিনরাত কাজ করেছেন। ই–পরিচয়, ই–অনুসন্ধান, বন্ধন–সহ একাধিক প্রকল্প থেকেও গঙ্গাসাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীরা অনেক সুবিধা পেয়েছেন। সবার প্রচেষ্টায় গঙ্গাসাগর মেলা পুরোপুরি সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ হয়েছে। দেশের মধ্যে একমাত্র পরিবেশবান্ধব মেলা বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। মেলায় প্লাস⛄্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পরিবর্তে জুট ও কাগজের ব্যবহার করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গলে ১০০টি সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রতট পཧরিষ্কার রাখার জন্য ৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। জীবানু মুক্ত করতে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার লিটার পরিবেশবান্ধব জীবানু স্প্রে করা হয়েছে।
এছাড়া গঙ্গাসাগর মেলার কর্মসূচির সাফল্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারি এবং নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলি কাজ করেছে। তাই এত সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদভাবে মেলা করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগর সাফাই অভিযান শুরু হবে।’ মোট ১৩ হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৪৫৫টি পকেটমার🉐ির ঘটনা ঘটলেও ৪৩২টি ক্ষেত্রে খোয়া যাওয়া জিনিস উদ্ধার হয়েছে। নানা অপরাধে মোট ৮৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম🎃েলায় নিখোঁজের সংখ্যা ৬৬৩২ জন। যার মধ্যে ৬৬২৭ জনকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।