রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। আর সেই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকল বৃদ্ধার দেহ। মৃতদেহের ওপর দিয়ে চলে গেল একের পর এক গাড়ি। যারফলে কার্🌞যত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বৃদ্ধার দেহ। শেষপর্যন্ত আঙুল দেখে ⛎বৃদ্ধার দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। আজ ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরদারি নিয়ে।
আরও পড়ুন: হাঁটার সময় পিছন থেকে গাড়ির ধাক൩্কা, ♏বিশ্বভারতীর গবেষকের মৃত্যু
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম কুমারী দাস (৯৩)। তিনি শান্তিপুর পাঁচপোতা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফ থেকে দাব🦹ি করা হয়েছে, বৃদ্ধার সামান্য মানসিক সমস্যা ছিল। কিন্তু, আত্মহত্যা নয় এটা নিছকই দুর্ঘটনা বলেই দাবি তাঁদের। পারিবারিক সূত্রের খবর, বেশ কিছু বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। তিনি বর্তমানে তাঁর এক মেয়ের বাড়িতেই বসবাস করতেন। বয়স্কজনিত কারণে তিনি হাঁটাচলা সেভাবে 🔴করতে পারতেন না। বাড়ির কাছেই রয়েছে জাতীয় সড়ক। তবে কীভাবে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠে পড়লেন, তা বলতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
আজ সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে🅠ই শোকের ছায়া নামে পরিবারে। কী কারণে তিনি রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, রাস্তার ওপারে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বৃদ্ধা। সেই সময় একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে আরও গাড়ি তাঁর দেহের ওপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমে কেউ বুঝতে না পারলেও দিনের আলো ফুটতেই খোঁজখবর শুরু হয়ে যায় বৃদ্ধার। সেই সময় জাতীয় সড়কে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ায় দেখে চেনার উপায় ছি🅷ল না বৃদ্ধাকে। তাঁর হাতের আঙুল দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রানাঘাট পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে﷽ পুলিশ।