‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে সম্প্রতি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছেড়েছে রাজ্য সরকার। ১২ লক্ষ উপভোক্তার জন্য এই টাকা ছাড়া হয়েছে। তবে দেখা গিয়েছে, বহু উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরেও লিন্টেন পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। উপভোক্তাদের অনেকের এই মনোভাবে অসন্তুষ্ট নবান্ন। তাই এ নিয়ে নজরদারি চালাতে এবং উপভোক্তাদের উৎসাহ দিতে আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।
আরও পড়ুন: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ছে রাজ্য, পাচ্ছেন ১২ লাখ উপভোক্তা
সম্প্রতি বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট হাতে এসেছে নবান্নের। সেই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বহু জেলাতে এই প্রকল্পের অগ্রগতি সেরকমভাবে হয়নি। এরপরেই সোমবার নবান্নে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। বৈঠকে সামনে আসে প্রায় ৭২ শতাংশ উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তি টাকার পর লিন্টেন পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ তৈরি করতে পেরেছেন। বাকি ২৮ শতাংশ এই অংশ পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারেননি। আবার অনেক উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণের কাজে হাতই দেননি। বৈঠকে উঠে এসেছে, বেশ কিছু জেলায় ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে। এই অবস্থায় মুখ্য সচিব পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার কারণগুলি চিহ্নিত করে উপভোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে। এরজন্য আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। যে সমস্ত জেলায় কাজ পিছিয়ে রয়েছে সেই সব জেলার আধিকারিকদের আরও তৎপর হতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকার পর পর লিন্টেন পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন ৮,৬৫,১৬৪ জন। তবে, ১২,৪৪২ জন এখনও বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরুই করেননি। কেন উপভোক্তারা বাড়ির কাজ শুরু করেননি? সেবিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা যারা পেয়েছেন তাঁদের বাড়ি তৈরির কাজের অগ্রগতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলায় মোট উপভোক্তার সংখ্যা হল ১,৬৩,৫৩৯ জন। অথচ এর মধ্যে ৮৩,০৭৩ জন উপভোক্তা লিন্টন পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ৩১৫৪ জন উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণের জন্য এখনও পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রীই সংগ্রহ করেননি।