༒এবার মুর্শিদাবাদের ঘটনা সম্পর্কে জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চান কার্তিক মহারাজ। দিন কয়েকের মধ্য়েই দিল্লি যাবেন তিনি। তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন। অমিত শাহের দফতর থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলেই তিনি মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি তাঁর কাছে তুলে ধরবেন।
সংবাদমাধ্যমকে কার্তিক মহারাজ🦹 জানিয়েছেন, চিঠি পাঠিয়েছি। ইচ্ছা আছে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার। তবে অ্য়াপয়েন্টমেন্টের ব্যাপার আছে। রাজনৈতিকভাবে যারা করছেন করছেন। তবে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে দেখা করব, সাধু সন্ন্যাসীদের পক্ষ থেকে দেখা করব। কী কী অবস্থায়, কী ধরনের যন্ত্রণায় আমরা আছি সেটা জানাব। জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ।
🔯এদিকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিমধ্য়েই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা জানানো হয়েছে ওপরমহলে। এবার কার্তিক মহারাজ গোটা পরিস্থিতি একেবারে শাহের দরবারে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, নানা ইস্য়ুতে কার্তিক মহারাজ বার বারই সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। বাংলাদেশে যখন বার বার আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন হিন্দুরা তখনও সেই হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে নানা আবেদন করেছিলেন কার্তিক মহারাজ। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু𒁏দের অবস্থা দেখলে হতাশা হয়। তাই রবীন্দ্রনাথের উক্তি ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ…’ পাথেয় করে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের হিন্দুদের সীমান্ত পার করে এদেশে আনা ও তাঁদের বসবাসে ব্যবস্থার দাবি জানাব। তারা তো অনুপ্রবেশকারী নয়। তারা হচ্ছে শরণার্থী। তারা ধর্ম পালন করার অধিকার রক্ষা করতে ওখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করা।’
আর এবার নিজের দেশ, নিজের রাজ্যে মুর্শিদাবাদ কাণ্ড। ওয়াকফ কাণ্ডের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার। আর মুর্শিদাবাদের সেই 'যন্ত্রণার পরিস্থিতি' এবার শাহের কানে তুলতে চান কার্তিক মহারাজ।
মুর্শিদাবাদে🍬 দিন কয়েক আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। একের পর এক সরকারি গাড়ি জ্বালানো হয়েছে। রেলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। আন্দোলনের নামে চলেছে সংগঠিক তাণ্ডব। কারা রয়েছে এর পেছনে ? কেন এভাবে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হল?
꧑ইতিমধ্য়েই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্য়সচিবের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।