সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন এলাকায় বাড়ি হেলে পড়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় তোলপার শহর। এরই মাঝে আবার ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'হাতিবাড়ি'র ছবি। এর জেরে শুরু হয়েছে বিচর্ক। যার আঁচ এবার গিয়ে পড়ল কলকাতা পুরসভার অধিবেশনেও। অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে অনন্যার হাতিবাড়ির কিছু অংশকে অবৈধ্য আখ্যা দিয়ে তা ভেঙে ফেলার অর্ডার জারি করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বাড়ির সেই 'অবৈধ' অংশকে বৈধতা দেওয়া হয়। এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে প্রশ্ন তুলে শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। (আরও পড়ুন: ♔কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ৩ দিন পর 'মূল অভিযুক্ত' ধরা পড়ল নিজেরই বাড়ি থেকে)
൲পুরসভার অধিবেশনে সজল ঘোষ দাবি করেন, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩২ লক্ষ টাকা রিটেনশন অর্থ দিয়ে অবৈধ অংশকে বৈধ অংশে পরিণত করেছেন। নিজের দাবি প্রমাণ করতে তিনি কিছু তথ্যও তুলে ধরেন। এরপর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খোলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কবে সেই বিতর্কিত বাড়ির বিতর্কিত অংশটিকে বৈধতা দেওয়া হয় এবং সেই নিয়ে পুরসভার আইনে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে ব্যাখ্যা দেন মেয়র। তিনি সেই সময় জানান, ওই বাড়িতে সিঁড়ি এবং লিফটের একাধিক অংশ বেআইনি ছিল। পরে তা পুরসভার বিল্ডিং আইনের অধীনে বৈধতা দেওয়া হয়।
🐈এদিকে নিজের বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সজল ঘোষের বাড়ির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা। সজল ঘোষের বাড়ির ছবি তুলে ধরে অনন্যা বলেন, 'হুজুরি মল লেনের এই বাড়িটিও বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে। দুটি বাড়ির মধ্যে কোথাও কোন ফাঁক নেই। অথচ বাড়ি তৈরি করে নিয়েছে সজল ঘোষ।' এদিকে নিজের বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সজল ঘোষ পালটা কটাক্ষ করে বলেন, 'এই বাড়ি ২০০ বছর আগেকার। অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে ইংরেজদের ধরে নিয়ে আসুক।'
⛎এদিকে বাড়ি বিতর্কে সজল ঘোষের নিশানায় ছিলেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ও। বিজেপি কাউন্সিলরের কথায়, 'সিপিএম কাউন্সিলরের ওয়ার্ডেই এই বাড়ি তৈরি হয়ে গেল। অথচ তিনি কিছু করলেন না? ইন্ডিয়া জোটের জন্যই হয়তো সিপিএম চুপ করে বসে আছে।' অবশ্য নন্দিতা দাবি করেন, বেআইনি নির্মাণকাজ নিয়ে তিনি পুরসভার বোরো অফিসে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এর আগে। তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের কোনও আঁতাত নেই।