✨ শহর থেকে জেলা—সব রুটে মেট্রোকে নিয়ে যেতে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। হাওড়া পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু করেছে। আবার দক্ষিণেশ্বর, নোয়াপাড়া পর্যন্তও মেট্রো চলাচল করছে। এবার ব্যারাকপুর পর্যন্ত নোয়াপাড়া মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলেও তা পড়েছে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ বিটি রোডের নীচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জলের পাইপলাইনের মারাত্মক ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পাইপলাইনের ক্ষতি হলে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ জল পাবে না। তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয়ে যাবে। তাই কলকাতার পুরসভা এবং কয়েকটি সংস্থা মেট্রো প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে।
꧟এদিকে বিটি রোডের নীচে থাকা পাইপলাইন শহর কলকাতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পাইপলাইন দিয়েই শহরের একটি বড় অংশে পানীয় জল সরবরাহ হয়ে থাকে। মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজের জেরে এই পাইপলাইনে কোনও ক্ষতি হলে শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষ জল পাবে না। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ সুতরাং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ গবেষকরা এখন এটা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। যাতে পাইপলাইনেরও ক্ষতি না হয় এবং মেট্রোর পথও সম্প্রসারিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তায় অনুপ্রবেশ ঘটছে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বনগাঁর পুরপ্রধান
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এখন এই জলের পাইপলাইনের গঠন এবং মেট্রো সম্প্রসারণের কাজের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। এই পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল কেমন হল সেটা পরে জানাবেন তাঁরা। সেই মতো সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে।🎃 তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা পুরসভা এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে পারে। কিন্তু এই কর্মকাণ্ডে যদি অতিরিক্ত সময় লাগে তাহলে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
যদি এই কাজ করা যায় এবং সুষ্ঠুভাবে সম্প্রসারণ করা যায় তাহলে উত্তর ২৪ পরগনার বুক একটা বড় দিগন্ত খুলে যাবে। দমদম, দক্ষিণেশ্বর এবং নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো এখন যাতায়াত করে। সেটাই যদি ব্যারাকপুর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে বিপুল পরিমাণ যাত্রীদের সুবিধা হবে। বিশেষ করে অফিস যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে।🗹 একদিকে শহরের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি এবং অপরদিকে পানীয় জলের সংকট এড়ানোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে কাজ করা খুব কঠিন। মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ স্থগিত থাকবে নাকি চলবে সেটা কলকাতা পুরসভা এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।