২০২৪ সালের ৯ অগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি- ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান হতে চলেছে। শনিবার দুপুর ২ টো ৩০ মিনিটে রায়দান করবে শিয়ালদ🎃া আদালত। আর ৯ অগস্ট থেকে কোন পথে এগিয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা? যে ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা-সহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবাদের স্বর শোনা যায় ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলা কীভাবে এগিয়েছে?
৯ অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে ত🔯রুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়।
১০ অগস্ট: গ্রেফতার করা হয় ধর্ষণ এবং খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত 🌺সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল সঞ্জয়।
১৩ অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হ💙াইকোর্টের।
১৮ অগস্ট: স্বতঃপ্꧂রণোদিত হয়ে মামলা শুনবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
সেপ্টেম্বর: কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান। ১৪ সেপ্টেম্বর সেই অবস্থান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ༒বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন। ১৬ সেপ্টে🐈ম্বর বিনীতকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
৫ অক্টোবর: ধর্মতলায় কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ‘আমরণ অ👍নশন’ শুরু করেন।🎶
৭ অক্টোবর: আরজি কর মেডিඣক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ সౠিবিআইয়ের। মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয়কে চিহ্নিত করা হয়।
২১ অক্টোবর: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের বা♑বা-মায়ের ‘কথায়’ জুনিয়র ডাক্তাররা ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহার করে নেন।
৪ নভেম্বর: শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়ের বি🐈রুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
১১ নভেম্বর: শিয়ালদা আদালতে আরজি কর ౠমেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকে🌠র ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়।
৯ জানুয়ারি, ২০২৫: বিচারপ্রক্রিয়া শেষ।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৫: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাস𓆉পাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান।
নির্ভয়া মামলা, প্রাথমিক রায়দান ও ফাঁসি
১৬ ডিসেম্বর, ২০১২: দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ যুবতীকে⛄। বন্ধুর সঙ্গে বাস তাঁকে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। নির্ভয়াকে ভরতি করা হয়েছিল সফদরজং হাসপাতালে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০১২: রাম সিং-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২১-২২ ডিসেম্বর, ২০১২: নাবালক এবং ষষ্ঠ অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরকে গ্রেফতার করা🤡 হয়েছিল।
২৯ ডিসেম্বর, ২০১২: ২৬ ডিসেম্বর ༺🌟নির্ভয়াকে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২৯ ডিসেম্বর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নির্ভয়া।
৩ জানুয়ারি, ২০১৩: যৌন হেনস্থার মামলায় দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার জ𝐆ন্য ২ জানুয়ারি ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর। ৩ জানুয়ারি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ। খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতির মতো একগুচ্ছ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।
১৭ জানুয়ারি, ২০১৩: পাঁচ প্র♌াপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে।
২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: ৫ প্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: নাবালকের 🍨বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়🐬েছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে।
১১ মার্চ, ২০১৩: জেলেই আত্মহত্যা এক অভিযুক্ত রাম সিংয়ের।
৩১ অগস্ট, ২০১৩: গণধর্ষণ মামলায় নাবালককে দণ্ডিত করেছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। তিন বছরে𒀰র সাজা দেওয়া হয়েছিꦚল।
৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: বিচারপ্রক্রিয়া ꦅশেষ। রায়দান স্থগিত রেখেছিল ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: গ💟ণধর্ষণ-সহ ১৩টি অপরাধের জন্য চারজওনকে দণ্ডিত করেছিল আদালত।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: চার প্রাপ্তবয়স্ক দণ্ডিতের ফাঁসির 💛সাজা ঘোষণা। ২৭৩ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হয়🌳েছিল।
২০ মার্চ, ২০২০: আইনি প্রক্রিয়া এবং প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের পরে সেদিন ভোর ৫ ꧋টা ৩০ মিনিটে দিল্লির তিহাড় জেলের ♔চার দণ্ডিতের (মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা এবং বিনয় শর্মা) ফাঁসি হয়েছিল।