কোচ হিসাবে গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যৎ কী হবে তা পর্যালোচনা করা হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হলেই। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিꦦতে ৩-১ ব্যবধানে হারের পরে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। শুধু তাই নয়, শোনা যায় গম্ভীর জামানায় ভারতীয় শিবিরের অন্দরে নাকি ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এখনই তাঁকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বোর্ড। ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল কেমন পারফরম্যান্স করে তা দেখার পরেই ঠিক করা হবে গম্ভীরের কী করা হবে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে।
ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গম্ভীরের কোচ হিসাবে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তাঁর অধীনে শেষ ১০টি টেস্টের মধ্যে ৬টিতে পরাজিত হয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কায় ওডিআই সিরিজেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে রোহিতদের। এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর জন্য অবশ্য তাদের খারাপ ফর্মও যথেষ্ট দায়ী। তবে এই মুহূর্তে গৌতম গম্ভীরে꧑র অবস্থা বেশি নড়বড়ে। PTI-কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক BCCI-এর এক সিনিয়র কর্তা জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ভালো না করলে প্রধান কোচের পদ নড়বড়ে হয়ে উঠতে পারে। হ্যাঁ, তার চুক্তি ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত রয়েছে তবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। খেলা সব সময় ফলাফল ভিত্তিক। কিন্তু গম্ভীর এখনও পর্যন্ত কোনও ভালো ফলাফল দিতে পারেনি।’
ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় দলের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা করেছে BCCI। তা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে গম্ভীর এবং সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলগত সংস্কৃতি ইস্যুতে একই মত পোষণ করছেন না। গম্ভীরের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এত বছর ধরে চলে আসা সুপারস্টার কালচারের অবসান ঘটাতে চান গম্ভীর। ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসাবে তিনি CSK-র বিরুদ্ধে IPL ফাইনালের জন্য প্লেয়িং ইলেভেন থেকে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে🌳 বাদ দিয়েছিলেন। তিনি এখানে এসেছেন সুপারস্টার সংস্কৃতিকে শেষ করতে এবং এটিই দলের কিছু সদস্যদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।’
এইসবের মাঝে একজন প্রাক্তন নির্বাচক জানিয়েছেন যে তিনি গম্ভীরের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের💞 ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই প্রাক্তন নির্বাচক বলেছেন, ‘হয় আপনি একজন রবি শাস্ত্রীর মতো কোচ হোন, যিনি মিডিয়া-বান্ধব ছিলেন, অথবা রাহুল দ্রাবিড়, গ্যারি কার্স্টেন বা জন রাইটের মতো হোন, যারা মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেন, খেলোয়াড়দের লাইমলাইটে থাকতে দিতেন। চ্যাপেল ওয়ে ভারতে কাজ করে না। গম্ভীর বা শাস্ত্রী বা দ্রাবিড়রা চলে যাবে কিন্তু খেলোয়াড়রা থাকবে।’