মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের পুরোনো নাগরিকত্ব প্রদানের একটি নীতি বা নিয়ম হল - 'বার্থরাইট সিটিজেনশিপ'। অর্ಌথাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মের ভিত্তিতে সেদেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার। যেটি মূলত, বাইরের দেশ থেকে আমেরিকায় আসা পুরুষ ও ♐মহিলাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যা কার্যত বাতিল করার বা একেবারে বদলে ফেলার হুঁশিয়ারি আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু, তিনꦯি যাতে সেই ধরনের কোনও পদক্🏅ষেপ কার্যকর করতে না পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হলেন আমেরিকার ২২টি স্টেট বা প্রদেশের অ্য়াটর্নি জেনারেল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আটকাতে মঙ্গলবার এই মর্মে একটি মামলা রুজু করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যে বার্থরাইট সিটিজেনশিপের খোলনলচে বদলে ফেলবেন, বা সেটিকে কার্যত বাতিল কর🗹বেন, এমন একটি আভাস এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারেই দিয়ে র༺েখেছিলেন তিনি।
তাঁর সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে সোমবার গভীর রাতে ট্রাম্পে🅰র এগজিকিউটিভের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যার শব্দ সংখ্যা মোটামুটি ৭০০। যদিও, এই নির্দেশিকা কতটা কার্যকর করা সম্ভব, তাﷺ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ, এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে গেলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই একটি লম্বা আইনি লড়াই লড়তে হবে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা সম্পর্কে ডেমোক্রেটিক অ্য়াটর্নি এবং অভিবাসী অধিকার রক্ষার পক্ষে থাকা আইনজীবীদের বক্তব্য হল, 'বার্থরাইট সিটিজেনশিপ' একটি মীমাংসায় পৌঁছে যাওয়া আইন বা নীতি। প্রেসিডেন্ট𝄹 অনেক ক্ষমতা থাকতে পারে। কিন্তু, তাঁরা দেশের রাজা💝 নন।
এই সম্পর্কে নিউ জার্সির অ্য়াটর্নি জেনারেলꦐ ম্য়াট প্ল্যাটকিন বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ꧑কেবলমাত্র কলমের এক খোঁচায় ১৪তম সংশোধনী বদলে ফেলতে পারেন না। এটাই সত্যি।'
যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এ নিয়ে আইনি লড়াই লড়তেও প্রস𝓰্তুত রয়েছে। এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের বক্তব্য হল, এই মামলা আদতে 'বামপন্থীদের প্রতিরোধের সম্প্রসারণ ছাড়া আর কিছুই নয়'।
বার্থরাইট সিটিজেনশিপ সংক্রান্ত কিছু তথ্য:
এই নীতি অনুসারে, যদি কোনও শিশু💧 আমেরিকার মাটিতে ভূমিষ্ঠ হয়, তাহলেই সে আমেরিকার নাগরিক হিসাবে গণ্য হবে। এমনকী, তার বাবা-মা যদি অনুপ্রবেশকারী হন, কিংবা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় এসে থাকেন, তাহলেও সেই শিশুকে মার্কিন নাগরিকের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই নীতি রক্ষিত হয় মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুসারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আইন নিয়ে কী বক্তব্য?
আমেরিকায় কোনও শিশু ভূমিষ্ঠ হলেই কোনও শর্ত আরোপ না করে তাকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েই আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তাতে আমেরিকার মাটিতে জন্ম নেওয়া সেইসব শিশু, যাদের মা অনুপ্রবেশকারী, অথবা যাদের বাবা মার্কিন নাগরিক নন কিংবা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ ꦰঅনুমতি নেই, তাদের এই নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও, যাদের মা আমেরিꦅকায় সাময়িক সময়ের বাসিন্দা এবং সেইসঙ্গে বাবা মার্কিন নন, সেই শিশুরাও মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না🐈। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।