𒅌 ভারতে এসে বিপাকে পড়েছিলেন একজন স্প্য়ানিশ পর্যটক। সাহায্য চাইতে আপতকালীন নম্বরে ফোন করেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে কন্নড় ভাষায় কথা বলতে বলেন সংশ্লিষ্ট টেলিকলার বা অপারেটর। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হওয়ার পরই আসরে নামল বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাদের দাবি, মোটেও এমন কিছু ঘটেনি।
📖টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্য তিরিশের ওই স্প্যানিশ যুবকের নাম জিসাস অ্যাব্রিয়েল্লে। তিনি রিচমন্ড টাউনে অবস্থিত নাইডুস অ্য়াপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স-এর একতলার একটি ফ্ল্য়াটে থাকছেন।
♏গত ১৫ জানুয়ারি দুই চোর তাঁর ঘরে ঢোকে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যান জিসাস। তিনি আপতকালীন নম্বরে ফোন করেন এবং ভাঙা ভাঙা ইংরেজি ও স্প্যানিশ মিলিয়ে মিশিয়ে নিজের অবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
🍃এর আগে এই ঘটনায় যে অভিযোগ সামনে এসেছিল, তা হল - সংশ্লিষ্ট টেলিকলার জিসাসকে বলেন, 'কন্নড় ভাষায় কথা বলতে'! এবং তারপর তিনি ওই কল কেটে দেন!
꧃পরবর্তীতে আরও জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি ভোর রাত ২টো নাগাদ জিসাসের বেড রুমে দুই চোর ঢুকে পড়ে। জিসাস তা বুঝতেই পারেন। সেই সময় তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। কিন্তু, নিজের কোনও ক্ষতি হতে পারে, এই ভয়ে তিনি আর চোরেদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখাননি।
ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপ্রায় আধঘণ্টা ধরে ওই দুই চোর লুঠপাট চালায়। তারা জিসাসের শোওয়ার ঘর থেকে ল্য়াপটপ, নগদ টাকা, প্ল্যাটিনামের আংটি এবং জিসাসের পরিচয় সংক্রান্ত নথি নিয়ে নেয়। তারপর স্লাইডিং জানলা দিয়ে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরই আপতকালীন নম্বরে ফোন করেন জিসাস। অভিযোগ, তখনই তাঁকে কন্নড় ভাষায় কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন সংশ্লিষ্ট অপারেটর।
𝔉এরপর সকাল ৮টা নাগাদ জিসাসের বাড়িওয়ালা সেখানে পৌঁছন। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, চুরির সময় জিসাস আপতকালীন নম্বরে কোনও ফোন করেননি। কারণ, তেমন কোনও কলের হদিশই পাওয়া যায়নি।
🍬পুলিশের বক্তব্য, জিসাস প্রথম সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে জরুরি হেল্পলাইনে ফোন করেন। কিন্তু, কোনও কথা হওয়ার আগেই লাইন কেটে যায়। এর ২ মিনিট পর দ্বিতীয় কল করা হয়। সেই সময় তিনি ঘটনা সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্য সরবরাহ করেন। এবং যেহেতু অপারেটর কন্নড় ভাষায় কথা বলছিলেন। তাই সেবারও লাই কেটে দেওয়া হয়।
♕অবশেষে জিসাসের দুই প্রতিবেশী সইদ আসফাক এবং সইদ সালাম আপতকালীন নম্বরে ফোন করেন এবং তাঁরাই সবটা ঠিকঠাকভাবে জানান। পুলিশ তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে।
🦩পুলিশের তরফে আরও একটি সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, প্রতিদিন শহরের হেল্পলাইনে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ কল আসে। যার মধ্য়ে সত্যিকার সমস্য়া নিয়ে কল করেন হয়তো ১,৫০০ জন। ফলত, জিসাসের প্রথমের কলগুলিও প্র্যাঙ্ক কল হিসাবে মনে করা হয়েছিল।
ওএমনকী, জিসাসের কল অনুসারে প্রথমে গাড়ি পাঠানো হলেও সম্পূর্ণ তথ্য না থাকায় সেই গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের। পরে যখন বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়, পুলিশ সেই অনুসারে পদক্ষেপ করে।