Hindus showered flowers on Muslims during Eid: জয়পুরে ইদের নমাজের সময় ফুল বর্ষণ গেরুয়াধারীদের, দেখুন সম্প্রীতির দৃশ্য

আজ সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ইদ-উল-ফিতর। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজস্থানেও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকে ইদগাহে নমাজ আদায় করা হয়। আর সেখানেই এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল। সেই ঘটনার ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে বার্তাসংস্থা এএনআই। তাতে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া পরিহিত হিন্দু ব্যক্তিরা নমাজ পড়তে থাকা ব্যক্তিদের উপর ফুল বর্ষণ করছেন। সম্প্রতি 'রাস্তায় নমাজ' নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছিল দেশ জুড়ে। এই আবহে উত্তেজনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কোথাও কোথাও। এই আবহে জয়পুরের এই সম্প্রীতির দৃশ্য সামনে এল গোটা দেশের। (আরও পড়ুন: রাস্তায় নমাজ আদায় করা কি উচিত? বড় দাবি দারুল উলুম দেওবন্দের)আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ভাঙিয়ে 'অখণ্ড বাংলাদেশ' গড়তে চাওয়া উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলাসোমবার সকালে জয়পুরের দিল্লি রোডে অবস্থিত ইদগাহে হাজার হাজার মুসলমান জড়ো হন। তারা সেখানে নমাজ পড়েন। সেই সময় কিছু গেরুয়া পোশাক পরা লোকজনকে নামাজ আদায়রত লোকজনকে ফুল বর্ষণ করতে দেখা যায়। হিন্দু মুসলিম ঐক্য কমিটি এর আয়োজন করে। কাঁধে গেরুয়া কুর্তা পরিহিত ব্যক্তিরা নমাজ আদায় করা ব্যক্তিদের উপর গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করেন। (আরও পড়ুন: বিহারে দুর্গা মন্দির থেকে ফেরার সময় ভক্তদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ, জখম মহিলারা) এর আগে উত্তরপ্রদেশের মীরাট পুলিশ সুপার (শহরাঞ্চল) আয়ুশ বিক্রম সিং জানিয়েছিলেন, উৎসবের সময় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তায় নমাজ পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিশ। এমনকী পাসপোর্ট ও লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০২৪ সালে রাস্তায় নমাজ পড়ার জন্য ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ আলিগড়ে নমাজ আদায়ের জন্যে দুটি বিশাল জমায়েতের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। ইদগাহ ময়দানে একটি জমায়েত হয়েছিল সকাল ৭টা নাগাদ। পরেরটি ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। (আরও পড়ুন: ‘কে ইন্ধন জুগিয়েছিল?’, মোথাবাড়ির অশান্তি নিয়ে বড় দাবি সাবিনা ইয়াসমিনের)আরও পড়ুন: পাকিস্তানে 'অজ্ঞাত পরিচয়' বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত নিষিদ্ধ সুন্নত জামাত নেতাপুলিশের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মসজিদ এবং ইদগাহের মতো নির্দিষ্ট জায়গায় নমাজ পড়তে হবে। রাস্তাঘাটে জমায়েত করে পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। পুলিশ জানায়, নিরাপত্তার জন্য ড্রোন, সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছে। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন আছে। এর আগে গত বুধবার কোতোয়ালি থানায় শান্তি কমিটির বৈঠকে এএসপি শ্রীশ চন্দ্র জানিয়েছিলেন যে, ইদের নমাজ শুধু মসজিদ এবং ইদগাহেই পড়া উচিত। তিনি আরও বলেন, মসজিদের কাছে বাড়ির ছাদে নমাজ পড়লেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আবহে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।