যুদ্ধ আবহে বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে, ১৯৪৫ সালের ৯ মে সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল জার্মানির নাৎসি বাহিনী। সেই ঘটনাকে স্মরণ করতে প্রতি বছরই ওই🤪 দিনটি রাশিয়ায় ‘বিজয় দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী নন, আগামী ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সম্ভবত ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং যোগ দেবেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে সোভিয়েত আর্মি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে। ৯ মে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করার বিজয় দিবসের ৮০ বছর পূর্তি হচ্ছে এবার। সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা স্বীকার করেছেন রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কো। অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, 'প্রধানমন💙্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং আমরা উপযুক্ত সময়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে আমাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানাবো।' সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট রেড স্কোয়ারের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে পারে। তা নিয়ে♒ও কথা চালাচালি চলছে।
পꦡাঁচ বছর পর গত বছর জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া গিয়েছিলেন। সেই সময় মস্কোয় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তার আগে ২০১৯ সালে তিনি রাশিয়ায় যান। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছরের শেষদিকে রাশিয়া সফরে যেতে পারেন। তাঁর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং জ্বালানি-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত মাসেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারতে আসবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের পর এটা পুতিনের প্রথম ভারত সফর হবে। তবে পুতিন ভারতে আসার বিষয়ে সম্মতি 𓃲জানালেও সেই দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।