গেটস-কেমব্রিজ ইমপ্যাক্ট পুরস্কার জিতলেন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞা෴নী উর্বশী সিনহা। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কোয়ান্টাম ইনফরমেশন এবং কম্পিউটিংয়ের অধ্যাপককে সেই ঐতিহ্যবাহী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আর তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বলেছেন, ‘কোয়ান্টাম সায়েন্সের প্রভাব কতটা, সেই সংক্রান্ত সম্ভাবনা (দুনিয়ার সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে) কখনও কখনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেটার (কোয়ান্টাম সায়েন্স) হাত ধর💯ে সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, তা জুরিরা অনুভব করতে পারায় আমি আনন্দিত।’
ঐতিহ্যবাহী পুরস্কার
এমনিতে এবার ঐত্যিহবাহী গেটস-কেমব্রিজ ইমপ্যাক্ট পুরস্কারের কাছে বিশেষ বছর। কারণ এবার গেটস-কেমব্রিজ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ২৫ তম ꩵবর্ষপূর্তি পালন করা হচ্ছে। আর স🐎েই বিশেষ বছরে গেটস-কেমব্রিজ ইমপ্যাক্ট পুরস্কার পেয়েছেন উর্বশী সিনহা-সহ আটজন।
আপ্লুত উর্বশী সিনহা
নোবেলজয়ী সিভি রমনের প্রতিষ্ঠিত র🐎মন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপকের কথায়, ‘গত ২৫ বছর ধরে সেই স্কলারশিপের বিবর্তন হয়েছে, সেটা আমি দেখেছি। আর সেই স্কলারশিপের ২৫ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে আমি রোমাঞ্চিত🍨। এই বিষয়টা অত্যন্ত গর্বের। তবে আগামী ২৫ বছরে আমি কী ছাপ ফেলতে পারি, সেটা নিয়ে এই (পুরস্কার) আমার উপরে আস্থা জুগিয়েছে।’
‘রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার’ ও বহু পুরস্কার পেয়েছেন উর্বশী সিনহা
তবে উর্বশী সিনহা আগেও অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। ভূষিত হয়েছেন বিভিন্ন সম্মানে। ২০২৪ সালে🏅 ‘রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার’ পেয়েছেন। তাঁর হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পদার্থব♍িজ্ঞানের জন্য ২০২৪ সালের যুবশান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছেন। যা এই বিভাগে ভারত সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার।
আবার ২০১৮ সালে এশিয়ার সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় নাম ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর। যিনি যাদবপুর থেকে পদ🅺ার্থবিজ্ঞান স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছিলেন। তাছাড়াও ২০২৩ সালে ‘চন্দ্রশেখরেন্দ্র সরস্বতী এমিনেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন উর্বশী সিনহা। যিনি ভারতের জাতীয় কোয়ান্টাম মিশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
২০২৪ সালে সার্নে 'ওপেন কোয়ান্টাম ইনস্টিটিউট' গঠনে সাহায্য করেছেন উর্বশী সিনহা। কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোটোনিক কোয়ান্টাম সায়েন্স এবং প্রযুক্তিতে কানাডার ‘এক্সিলেন্স রি♔সার্চ চেয়ার’-ও হলেন রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন, সেজন্য তাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্মান প্রদান করা হয়।