বাঙালি বিয়ের সঙ্গে শাখা-পলা, সিঁদুর ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে। তবে বর্তমানে অনেকেই কাজের জন্য বিয়ের পর শাখা-পলা পরতে পারেন না। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের পর্দায় নানা চরিত্র হয়ে উঠতে হয়, তাই তাঁদের জন্য সব সময় শাখা-পলা পরা সম্ভব হয় না। তবে সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই নায়িকাদের কটাক্ষের মুখেও পরতে হয়। বিয়ের পর শাখা-পলা না পরা নিয়ে কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন দর্শনা বণিকও। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন নায়িকা।
আরও পড়ুন: 'আমি আর সৌরভ দু’জনই বাচ্চা খুব ভালোবাসি…', সন্তান নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন দর্শনা
স্টেট আপ উইথ শ্রীতে দর্শনা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার বিয়ে হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, তার পর পরই ছিল ২৫ ডিসেম্বর মানে ক্রিসমাস। তো আমরা একটা ক্রিসমাস পার্টিতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি একটা লাল রঙের ড্রেস পরে গিয়েছিলাম। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই পোশাকটার সঙ্গে আমি শাখা-পলা, সিঁদুর পরিনি। আর তা দেখে অনেকেই ট্রোল করা শুরু করলেন। লোকজন বললেন, যে নব বিবাহিতা স্ত্রী, এত ওয়েস্টানাইজ। অনেকেই বলেছিলেন, তোমরা এত রীতিনীতি মেনে বিয়ে করলে, সেই সব কোথায় গেল।'
তবে সেই সময় দর্শনার শাশুড়ি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সময় আমার শাশুড়ি আমার হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি সকলকে বলেছিলেন। ওঁর ৩৫ বছর আগে যখন বিয়ে হয়েছিল, তার এক দুমাস পর তিনিও শাখা-পলা খুলে রেখেছিলেন। তিনি চাকরি করতেন। তিনি সেই সময় আমাকে বলেছিলেন, আমি সেই সময় এই সব কথার সম্মুখীন হয়েছি। তুই এই সময়ে এসেও এইসব কথা সহ্য করবি? তিনি সকলকে খুঁজে খুঁজে কড়া জবাব দিয়েছিলেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাত পাকে বাধা পড়েন সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিক । দেখতে দেখতে বিয়ের দেড় বছর। তবে এখনও ভালোবাসার টান একটুও কমেনি। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে দর্শনা বলেছিলেন, ‘২০২১ সাল থেকে পরপর কাজ করেছি। ২০২২ সাল থেকে কাছাকাছি আসি। সম্পর্কটা ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। যতদিন না বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।’ জানিয়েছিলেন, দুজনের কেউই লিভ ইনে বিশ্বাসী নন। তাই বিয়েটাই ছিল কার্ডে। বিয়ে করেই দেখতে চেয়েছিলেন, সম্পর্ক কতটা কাজ করে।
সৌরভ-দর্শনার বিয়ের খবর চাউর হতেই, কম ট্রোল হয়নি। যদিও নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে, দেড় বছর পরেও, একে-অপরকে ভালোবাসা আর যত্নে আগলে আগলে রেখেছেন।