💮 একের পর এক প্রকল্পে রয়েছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। তা সত্ত্বেও কাজ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একের পর এক প্রকল্প জারি রেখে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টাকাও দেয়নি। যা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তারপরই গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ‘পথশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। এই পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক হাজার রাস্তার সংস্কার হয়েছে। তারপরও কিছু রাস্তার সংস্কার বাকি থাকায় কয়েকজন বাসিন্দা ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র টোল–ফ্রি নম্বরে ফোন করে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান। আর তারপরই দু’হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার সমীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে।
🌊নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় আড়াই হাজার রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেবে দফতর। ওই বাসিন্দাদের ফোনে যে এমন দ্রুত কাজ হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’–তে ফোন করে এই কাজ হওয়ায় এলাকার মানুষজন ভীষণ খুশি। এমনকী এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে, দিদি সত্যিই জননেত্রী। যেভাবে পাশে দাঁড়ালেন এবং সাহায্য করলেন তা আগে কখনও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেন, অধীর ধাক্কা খেল কলকাতা হাইকোর্টে
একাধিক সভা–সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তৈরি হয়েছে মানুষের কাজ করার জন্য। কাজ করতে না পারলে সরে যেতে হবে। সেটা যেই হোক। ২০২৩ সালের ৮ জুন তারিখে চালু হয়েছিল ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পরিষেবা। এখানে মানুষজন সরাসরি ফোন করে সমস্যা জানাতে পারেন। তাতে কাজও হয়। তাই আমজনতা মুখ্যমন্ত্রীর উপরই ভরসা রেখেছেন।✅ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চার হাজারের বেশি রাস্তা সংস্কারের আবেদন জমা পড়েছে নবান্নে। তার মধ্যে ২৪০০টি রাস্তা সংস্কারের কাজ আগে করা হবে। তারপর বাকিটাও হবে।
তবে যে ২৪০০টি রাস্তার সংস্কার হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। ব্লকস্তর থেকে তথ্য নিয়ে জেলা প্রশাসন তা নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছে। ‘পথশ্রী’ প্রকল্প করার পর এখন আর কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে না। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে সবুজ সংকেত এবং টাকার অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন,𒉰 ‘দ্রুত রাজ্য সরকার রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন দেবে। জেলায় অধিকাংশ রাস্তার সংস্কার হয়ে গিয়েছে। কিছু রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেগুলিও হবে।’