তৃণমূল কংগ্রেসে যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নতুন করে দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করছে না কেউই। আবার তৃণমূলে যে এখনও 'শেষ কথা' মমতা, তা অস্বীকার করারও জায়গা নেই। তবে এরই মাঝে দলের সংগঠনের হাল প্রবীণদের থেকে নবীনদের হাতে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধই টানাপোড়েন চলছিল। এরই মাঝে অবশ্য সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'ঘোষণা' করেন, আগামী ১০ বছর দল দেখবেন তিনিই। অপরদিকে একদা 'অভিষেক ঘনিষ্ঠ' কুণাল ঘোষও ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করে লিখেছেন, '২০০ পাতার বই ১৫১ পাতা থেকে পড়া শুরু করলে, জানা বোঝার ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণতা থেকে যায়।' এই সবের মাঝে এবার মুখ খুললেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কথা কম, কাজ বেশি'র বার্তা দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তিনবারের সাংসদ। (আরও পড়ুন: ♑কেন ডিএ বাড়ছে না রাজ্য সরকারি কর্মীদের? অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার পরই এল 'জবাব')
আরও পড়ুন: ꩵ'তুমি ক্রিমিনাল…', মার্কিন বিদেশ সচিবের সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল সাংবদিককে
অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে বহুবার চর্চা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন ওঠে, নিজের লোকসভা কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের সমান্তরাল প্রশাসন চালাতেই কি অভিষেকের এই 'মডেল'? এই জল্পনা-কল্পনার মাঝেই আবার নিজের কেন্দ্রে সম্প্রতি সেবাশ্রয় প্রকল্প চালু করেছেন অভিষেক। সেবাশ্রয়ের সাফল্য নিয়ে এদিন সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন অভিষেক। সেখানেই অভিষেক লিখছেন, ‘প্রশাসন মানে শুধু কথার কথা নয়, প্রশাসন মানে জীবনে বদল আনা।’ তাঁর লেখা সেই বাক্য নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অভিষেক লেখেন, 'সেবাশ্রয় শুধুমাত্র সংখ্যার বিষয় নয়; এই পরিসংখ্যানের পিছনে থাকা মুখগুলির বিষয়: যে শিশুটি সময়মতো চিকিৎসা পেয়েছে, যে বৃদ্ধরা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন এবং যে পরিবারগুলি আর পরিত্যক্ত বোধ করে না। একসাথে, আমরা প্রমাণ করছি যে প্রশাসন কথায় নয় বরং কাজের মাধ্যমে জীবনকে রূপান্তরিত করে।' (আরও পড়ুন: ⛄'মোদীতে নিজেকে দেখতে পান ট্রাম্প…', আর কী কী ভাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট)
আরও পড়ুন: ꦦ'ইতিবাচক পদক্ষেপ,তবে অধ্যায় শেষ হয়নি', পান্নুনকাণ্ডে ভারতকে বার্তা মার্কিন দূতের
আরও পড়ুন: 🅷নড়বড়ে নেতানিয়াহুর গদি, গাজায় নিহত আরও ৭২, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি…
𒁏এর আগে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি ও বিধায়ক উত্তম বারিকের বিবাদ মেটাতে দুই নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মমতা। সেই সময়ই নাকি তিনি বলেছিলেন, 'আমি দলের চেয়ারপার্সন। আগামী ১০ বছর আমিই দল চালাব।' যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে মমতার এই মন্তব্যের কথা প্রকাশ্যে আসার পরে কুণাল ঘোষ আবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিল্পী বয়কট ইস্যুতে সংঘাত বেড়েছে কুণাল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। যদিও বাংলার রাজনীতিতে কুণাল ঘোষ অভিষেকপন্থী বলেই পরিচিত ছিলেন। তবে তৃণমূলের অন্দরে বিগত কয়েক মাসে সমীকরণ অনেকটা বদলেছে। লোকভা ভোটের পর থেকেই অভিষেককে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। আরজি কর কাণ্ডের সময় যখন দলের হয়ে কুণাল ঘোষ বারংবার সরব হয়েছেন, তখন অভিষেককে সেভাবে মুখ খুলতেই দেখা যায়নি। এহেন পরিস্থিতিতে আরজি কর আন্দোলনে রাস্তায় নামা শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কুণাল। পরে অভিষেক জানান, তিনি বয়কটের সঙ্গে সহত নন। এর জবাবে আবার কুণাল বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেই বয়কট নিয়ে নিজের অবস্থান বদল করবেন তিনি। এই সব মন্তব্য, পালটা মন্তব্যের আবহে অভিষেকের সর্বশেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের শেষের লাইন কটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।