শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা হবে তখন। আর পাঁচটা দিনের মতোই ব্যস্ততা ছিল সেতুতে। আচমকাই সাদা রঙের একটা স൲্কুটি এসে দাঁড়ায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিংয়ের কাছে। এরপর সেই স্কুটিকে দাঁড় করান তিনি। তারপরই সেতু থেকে সোজা গঙ্গায় ঝাঁপ। এদিকে জলে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়েই অনেকেই ছুটে আসেন। দ্রুত জল থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। তাকে জল থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
সূত্রের খবর, হাওড়া থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। আচমকাই সেতুর মাঝে এসে স্কুটার থামান তিনি। রাস্তার পাশে সেই স্কুটার দাঁড় করান। সাদা রঙের একটি স্কুটি। এরপরই সেতু থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। আচমকা উপর থেকে কিছু পড়ার আওয়াজ পান মাঝিরা। সেই সময় ত𓄧াঁরা নীচে মাছ ধরছিলেন। এক যুবক ঝাঁপ দিয়েছে এটা বুঝতে পেরেই দ্রুত তাঁরা ওই যুবককে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। এরপর কোনওরকমে জল থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে।
রিভার ট্রাফিক পুলিশের কাছে খবর যায়। তা🐈রাও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন ওই যুবক। এবার প্রশ্ন কেন তিনি এভাবে সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। তবে সম্পর্কের টানাপোড়েন, আর্থিক সমস্যা নাকি সাংসারিক অশান্তি পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক যুবক বাইক দাঁড় করিয়ে একইভাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁকে একজন আটকানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু হাত ছাড়িয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জ🍌ানা গিয়েছিল মৃত যুবকের নাম অরিজিৎ দে।
সেদিℱন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। এরপ𝓀র আর বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। এরপর বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যান। পরে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। তবে বন্ধুদের আড্ডায় অরিজিৎকে ওই রাতে বেশ মন খারাপ মতো লাগছিল।
সেই সময় অরিজিতের বন্ধু বলেছিলেন, প্রায় রাত দেড়টা পর্যন্ত আমরা আড্ডা দিই। রাত দশটা নাগাদ ও এসেছিল। তারপর আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। তবে ওর মন মেজাজ একটু খারাপ লাগছিল। রাত একটা না দেড়টা বাজে। সবাই বলল তুমি বাড়ি চলে যাও।꧙ বাইকগুলো আমার বাড়িতেই রেখেছিল সবাই। তারপর সবাই বেরিಞয়ে গেল। আজ সকালে জানতে পারি আমার ফ্ল্যাটের নীচে ভোর ৫টা নাগাদ এসেছিল। ওর এক বন্ধুর লাইসেন্স সিকিউরিটির কাছে দিয়ে গিয়েছিল। তারপরই এই ঘটনার কথা জানতে পারি।