🐽বেশ কয়েকবছর ধরেই কিছু কলেজ শিক্ষকের পদোন্নতির ফাইল বিশেষ নড়েনি। আটকে আছে তাঁদের পদোন্নতি। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম(ক্যাস) ঘিরে বহু দিন ধরেই নানা টানোপোড়েন চলছে। এর জেরে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছিলেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। তবে এবার সেই জট কাটতে চলেছে। অর্থ দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে বলে খবর।
কেবলমাত্র সরকারি কলেজে❀ই নয়, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত যে কলেজগুলি রয়েছে সেখানেও ক্যাস সংক্রান্ত নানা অভিযোগ। তবে এবার কিছুটা হলেও সমস্য়ার সমাধান হতে পারে বলে খবর। এই সময়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক একজন শিক্ষক- শিক্ষিকার ৩.৫ লাখ থেকে ৭.৫ লাখ টাকা করে বকেয়া রয়েছে। তবে এবার কিছুটা হলেও সমস্যা মিটতে পারে।
🔯ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা নিমাইচন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, মাঝে কিছু অনিয়ম হচ্ছিল বলে সরকারি কলেজের গোটা ক্যাস প্রক্রিয়াটাই বন্ধ রাখা হয়েছিল। সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে ক্যাস হলেও তাতে দেরি হচ্ছিল। উচ্চশিক্ষা সচিবের সম্মতি নিয়ে সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টি ফিনান্স ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ক্ল্যারিফিকেশন এসেছে। তাই সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে একই পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্যাসের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
🎃এককথায় বেশ কয়েকবছর ধরে যে জট রয়েছে সেটা কিছুটা হলেও কাটার সম্ভাবনা। আশার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এবার।
মূলত জটটা কোথায় রয়েছে?
ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষা 🐼অধিকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ক্যাস সংক্রান্ত রেগুলেশন বের হতে কিছুটা দেরির কারণেই কিছু ক্ষেত্রে সংশয় ছিল। যেমন পিএইচডি ছাড়া যাঁরা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হয়েছেন ও ২০১০ না ২০১৮ কোন রেগুলেশন মেনে ক্যাস হবে সেই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ছিল।
🤪তবে এই ক্যাস সংক্রান্ত ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা রয়েছে। এমনকী অনেকের সেই ২০০৬ সালের ক্যাসও বকেয়া থেকে গিয়েছে। প্রিন্সিপালরা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে উচ্চশিক্ষা অধিকরণ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য় কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে এবার কিছুটা হলেও আশা আলোর দেখা যাচ্ছে।
ไওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্য়েই অর্থ দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। অধ্যক্ষদের বলা হচ্ছে যাঁদের ক্যাস বকেয়া রয়েছে যথাযথ পদ্ধতি মেনে দ্রুত তাঁদের নথি পাঠানো হোক। যাতে আর কোনও সমস্যা না হয়।