🍷 বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে মহারাষ্ট্রকে ৬৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে বিদর্ভ। দুই শক্তিশালী দলই এবারের বিজয় হাজারেতে ছন্দে ছিলেন। দুই দলই সেমিফাইনালে তুলল ৩০০র বেশি রান, কিন্তু শেষ হাসি হেসে মাঠ ছাড়ল বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থার দলই। ম্যাচে দুরন্ত ইনিংস খেলেন দুই ওপেনার ধ্রুব শোরে, যশ রাঠৌর, করুণ নায়াররা।
🔯বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মা। ভারতীয় দলে খেলা এই উইকেটকিপার ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন বিদর্ভের হয়ে। সেমিফাইনালে তিনি রুতুরাজ গায়েকওয়াড়ের অনবদ্য ক্যাচ নিয়ে তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করেন। এরপর আরসিবিও খোঁচা দিতে ছাড়েনি রুতুরাজকে।
দুরন্ত ক্যাচে রুতুরাজকে ফেরালেন জিতেশ-
🐟ওপেনিংয়ে রুতুরাজ গায়েকওয়াড় কতটা ভয়ঙ্কর সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে সকলেরই জানা। মহারাষ্ট্রের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দর্শন নালকাণ্ডে বোলিং করছিলেন রুতুরাজ গায়েকওয়াড়কে। একটু ওপরের দিকে ওঠা বলই ফাইন লেগের দিকে বড় শট খেলতে যান মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক রুতু। কিন্তু সেই বল ঠিকঠাক কানেক্ট হয়নি।
🔯আরও পড়ুন-'ওরা যখন বুঝবে, নিজেরাই সরে দাঁড়াবে! কোহলি-রোহিতের অবসর জল্পনায় বার্তা কপিল দেবের
একঝলকে সেই ক্যাচের ভিডিয়ো-
ꦍব্যাটে বলে ভালো সংযোগ না হওয়ায় রুতুরাজের সেই শট ওপরের দিকে উঠে যায় খালিকটা। ফাইন লেগের অনেকটা আগে পর্যন্ত দৌড়ে গিয়ে সেই ক্যাচই তালুবন্দী করেন জিতেশ শর্মা। অনবদ্য দক্ষতায় শরীর আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা ক্যাচ নিয়ে রুতুকে ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান বিদর্ভের উইকেটকিপার জিতেশ শর্মা। সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে বিসিসিআই।
রুতুরাজকে খোঁচা আরসিবির-
✃এরপরই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর তরফ থেকে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখা হয়, ‘ইট ইজ সামওয়ান ফ্রম আরসিবি। জিতেশ শর্মা ডুইং হোয়াট হি ডাজ বেস্ট (আরসিবির কেউ এটা করেছে। জিতেশ শর্মা যে কাজটা ভালো পারে, সেটাই করছে) ’। আসলে কয়েক সপ্তাহ আগে এক ইভেন্টে গিয়ে রুতুরাজের মাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি মজার ছলেই বলেছিলেন, এটা আরসিবির কারোর কাজ। পাল্টা তাঁকেই এবার খোঁচা দিতে ছাড়ল না আরসিবির সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল।
🧜আরও পড়ুন-BGTতে শতরান! IPLএ ৬ কোটি! ধন্যবাদ জানাতে হাঁটু ভেঙে তিরুপতি মন্দিরে উঠলেন নীতীশ রেড্ডি
💦প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৮০ রান তোলে বিদর্ভ। তিন উইকেটের বিনিময় তাঁর বড় স্কোরে পৌঁছায়। ধ্রুব শোরে করেন ১১৪ রান, যশ রাঠোর করেন ১১৬ রান। আর বিদর্ভের হয়ে ইন ফর্ম ব্যাটার করুণ নায়ার এই ম্যাচেও অপরাজিত থেকেই শেষ করেন নিজের ইনিংস। একটুর জন্য মিস করেন শতরানের সুযোগ। ৪৪ বলে ৮৮ রান করেন তিনি। জিতেশ শর্মা ব্যাট হাতেও নজর কাড়েন, করেন ৩৩ বলে ৫১ রান।
ফাইনালে কর্ণাটকের সামনে বিদর্ভ-
🌼জবাবে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজের উইকেট দ্রুত হারালেও আর্শিন কুলকার্নী ১০১ বলে ৯০ রান করেন। অঙ্কিত বাওনে অর্ধশতরান করেন। নিখিল নাইক করেন ৪৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে মহারাষ্ট্র শিবির। ৬৯ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বিদর্ভ। তাঁরা ফাইনাল ম্যাচে শনিবার মুখোমুখি হবে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, দেবদূত পাডিক্কালদের কর্ণাটকের।