♔ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীর ফোনে কথা হয়। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে জেল বন্দি। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
কী জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী?
শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ൲ চ্য়াটার্জির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আগের কথাগুলো বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। তিনি যেদিন চান বেলের মোরব্বা খান, যেদিন চান খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি ছোলার ডাল খেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কাদের হাতে আছেন। এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মামলা নিয়ে যাওয়া উচিত। তারা তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছেন। কনভিকশন করাতে চান। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আপনি রোজভ্য়ালির মামলা ভুবনেশ্বরে ছিল বলে , ভুবনেশ্বর জেলের অভিজ্ঞতাটা কী সম্মানীয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে শুনে আসবেন। তিনি হাসপাতাল ও ভুবনেশ্বর জেল মিলিয়ে চার মাস ছিলেন। দুঃখ দুর্দশা, জেল কাকে বলে সুদীপ দা জানেন। জেল কাকে বলে শাহজাহান, পার্থ চ্যাটার্জি এরা জানে না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি তিহাড় জেলে ছিলেন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর আজকের ভাষা তফাতটা বুঝতে পারছেন। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও তফাত দেখি পার্লামেন্টে।একজন ভুবনেশ্বর আর একজন তিহাড় জেল থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু এই জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।
𝐆এদিকে বিগত দিনে গ্রেফতার হওয়ার পর চারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। কিন্তু একবারও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানানো হয়েছিল এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে। পরে অবশ্য় তৃণমূল এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিল।
ꦬএদিকে সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে।
🐻একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।