নিষিদ্ধ সংস্থার সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায়ඣ যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে। তবে এক প্রসূতির প্রাণ যাওয়ার পরেও রোগীদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সরকারি হাসপাতালে বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। কারণ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, প্রাণ বাঁচাতে নয়, এখন প্রাণ হাতে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার সকালে সংক্রমিত স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্𝄹য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে ৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল বলে ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়।
শুক্রবার প্রসূতির মৃত্যুর পর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘আমরা আরও একবার ওই সংস্থার পণ্যব্যবহার করতে বারণ করে হাসপাতালগুলিকে চিঠি দিয়েছে। যে সমস্ত পণ♏্য হাসপাতালে মজুত রয়েছে সেগুলিও ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যসচিবের আশ্বাসের পরেও রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালের পণ্য ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ন্যাশনাౠল মেডিক্যাল কলেজ, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, উলুবেড়ি🍸য়া মেডিক্যাল কলেজ, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রাজ্যে সংগঠিত দুর্নীতি চলছে। তাই রোগীমৃত্যুর পরেও বিষাক্ত স্যালাইন রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে খোঁজ নিলে দেখবেন সেখানে শাসকদলের নেতাদের বিনিয়োগ রয়েছে। আগে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে সরকারি হাসপাতালে যেত, এখন প্রাণ হাতে নিয়ে সরকারি হাস🥃পাতালে যাচ্ছে।