ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র ভাঙড়। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুর মোড়ে অবরোধ করা হয়েছিল। রাস্তা আটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো🌺 হচ্ছিল। হাইওয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য় বার বার অনুরোধ করতে থাকে পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা একেবারে নাছোড়বান্দা। হাইওয়ে ছাড়তে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। এমনকী দোকানপাটের ভেতরেও ঢুকে পড়ছিলেন বিক্ষোভকারীরা।এরপরই অ্যাকশনে নামে পুলিশ।
এদিকে সোমবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ করে๊ রেখেছিল হাইওয়ে। এদিকে চরম সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। একের পর এক যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে পড়ে।
নৌশাদ সিদ্দিকি আমরা একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে প্রতিবাদ করছি। তৃণমূল ও বিজেপি সবসময় একটা বিভাজন তৈরি করছে। ওরা বিভাজন ছাড়া ক্ষমত꧂ায় টিকে থাকতে পারবে না। সেকারণে আমাদের আটকাচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রথমে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়। পুলিশ বার বার বলেছিল আপনারা বাসন্তী হাইওয়ে ছেড়ে দিন। কিন্তু কিছুতেই রাস্তা ছাড়ছিলেন না অবরোধকারীরা। এরপরই পুলিশ অ্যাকশনে ন💖ামে। একেবারে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। তৎপর হয় পুলিশ। এরপরই পড়িমরি করে ছুটত🐈ে শুরু করেন অবরোধকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ছিল অবরোধকারীরা। পুলিশ বার বার বারণ করা সত্ত্বেও থামছিল না। এরপর অবশ্য পুলিশ আর হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। রাস্তা খালি করতে পুলিশ এরপর ময়দানে নামে। তারপরই কার্য♔ত রাস্তা খালি করতে বাধ্য় হন অবরোধ♛কারীরা।
এদিকে বার বারই প্রশ▨্ন উঠছে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে কি ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করা সম্ভব?
এদিকে মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে বার বারই প্রশ্নের মুখে প🧸ড়েছিল পুলিশ। পুলিশ সেখানে কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলജ। তবে এবার ভাঙড়ের ক্ষেত্রে একেবারে পুরোমাত্রায় ময়দানে নামল পুলিশ। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধৈর্য্য দেখানোর পরেও রাস্তা ছাড়ছিলেন না অবরোধকারীরা। এরপরই শুরু হল লাঠিচার্জ।
সূত্রের খবর, পুলিশের পদস্থ কর্তারা আইএসএফ কর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য় বার বার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তারপরেও তারা রাস্তা আটকে রেখেছিলেন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করতেই যে যার মতো পালাতে শুরু করে। এরপর পুলিশ রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কলকাতামুখী রাস্তাকে ✨প্রথমে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর অপর লেনকেও খালি করে দেওয়া হয়।