♈ আবারও বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা। এবার হাসিনা ছাড়াও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আরও ১৬ জন - অর্থাৎ - সব মিলিয়ে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
🍨বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসার, আজ (মঙ্গলবার - ১৫ এপ্রিল, ২০২৫) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মহম্মদ জাকির হোসেন গালিব এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। জানা গিয়েছে, প্লট বা জমি বরাদ্দ করা নিয়ে হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মামলা রুজু করেছিল বাংলাদেশের 'দুর্নীতিদমন কমিশন' (দুদক)। সেই মামলাতেই এদিন আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
❀তথ্য বলছে, এই নিয়ে দুদক-এর করা মোট ছ'টি মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। এদিন যে মামলার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হয়, তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৯ এপ্রিল।
♋বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে - এই মামলায় হাসিনা ও তাঁর ছেলে ছাড়াও আরও যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা হলেন - গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহম্মদ সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজি ওয়াসিউদ্দিন ও সচিব মহম্মদ শহিদউল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মহম্মদ আনিসুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মহম্মদ খুরশিদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মহম্মদ নাসিরউদ্দিন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়র) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারউল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলি শরিফ, সাবেক সদস্য শফিউল হক, পরিচালক মহম্মদ কামরুল ইসলাম, পরিচালক মহম্মদ নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মহম্মদ সালাহউদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ।
💫আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা, পূরবী গোলদার, আনিসুর রহমান, নাসিরউদ্দিন, সামসুদ্দিন, নায়েব আলি খুরশিদ আলম, শরিফ আহমেদ, শহিদউল্লাহ, ওয়াসিউদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম একসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দু'টি মামলায় অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
🍸মামলাকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শেখ হাসিনা নিজের মালিকানায় এবং তাঁর ছেলে, মেয়ে, বোন এবং বোনের দুই ছেলে-মেয়ের নামে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ করিয়েছিলেন। অথচ, তাঁদের সকলেরই ঢাকা শহরে হয় বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু, সেই তথ্য গোপন করেছিলেন তিনি!
⛎মামলাকারীর দাবি, এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এবং এই অনিয়ম করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এবং আধিকারিকরা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন।