ꦬ গ্রেনেড নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাজ্যের আপ সরকারকে নিশানা করে বলেছিলেন, পাঞ্জাবে ৫০টি গ্রেনেড এসেছে, যার মধ্যে ১৮টি ব্যবহার করা হয়েছে, আর ৩২টি বাকি আছে। এরপরেই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পাঞ্জাব পুলিশ। সোমবার তাঁকে মোহালির সাইবার ক্রাইম থানা পুলিশের সামনে হাজির হননি। তার বিরুদ্ধে মোহালি রাজ্য সাইবার ক্রাইম থানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান।
🗹প্রতাপ সিং বাজওয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ বিএনএসের ১৯৭ (১) (ডি) এবং ৩৫৩ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, সোমবার বেলা ১২টায় তলব করা হয়েছিল কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু তাঁর আইনজীবীরা মোহালিতে গিয়ে জানিয়ে দেন, প্রতাপ সিং বাজওয়া আজ হাজিরা দিতে পারবেন না। তাঁর আর একদিন সময় প্রয়োজন। অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়করা যুক্তি দিয়েছেন যে, বিরোধী দলনেতা গভীর রাতে সমন পেয়েছেন, তার আগে থেকে এদিনের কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে, তিনি মঙ্গলবার পুলিশের সামনে হাজির হবেন। অন্যদিকে, পাঞ্জাব কংগ্রেস বাজওয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ভগবন্ত মান সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল তৈরির জন্য দলের সিনিয়র নেতারা আলোচনা করছেন।বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আম আদমি পার্টি সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১৫-এ দলীয় সদর দফতরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। তিনি বলেন, 'ভগবন্ত মান সরকার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভয় দেখানোর জন্য পুলিশের অপব্যবহার করছে।'
🅠ঘটনার সূত্রপাত একটি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে। টিভি চ্যানেলের পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা বলেন, পাঞ্জাবে ৫০টি গ্রেনেড নিয়ে আসা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি গ্রেনেডের ইতিমধ্যে বিস্ফোরিত হয়েছে এবং ৩২টি সক্রিয় রয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত পাঞ্জাবে ১৬টি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার লক্ষ্য ছিল মূলত পুলিশ পোস্ট, ধর্মীয় স্থান এবং বাসস্থান। সর্বশেষ ঘটনাটি হল ৮ এপ্রিল জলন্ধরে বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাড়িতে হামলা।এই মন্তব্যের পরেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তদন্তের নির্দেশ দেন। এআইজি রভজোত কৌর এবং এসপি হরবীর সিং আটওয়াল তদন্তের জন্য চণ্ডীগড়ে বাজওয়ার বাড়িতে যান। কিন্তু পরে তারা বলেন, কংগ্রেস নেতা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এরপরেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে সমন জারি করা হয়।
❀উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পাঞ্জাবের জলন্ধরে বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাসভবনের বাইরে গ্রেনেড হামলা হয়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতের নাম সাইদুল আমিন। তিনি উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা। সাইদুলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ দল।