ღ সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ-সহ পশ্চিমবঙ্গের নানা অংশে যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই ঘটনাগুলিতে এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তুলে মামলা রুজু হল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে দায়ের করা এই মামলায় দাবি করা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনাগুলিতে মূলত হিন্দুরাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
ꦡসুপ্রিম কোর্টে এই মামলা রুজু করেছেন শশাঙ্ক শেখর ঝা নাম এক আইনজীবী। তিনি তাঁর আবেদনে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা জারি করারও আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই হিংসা সামলাতে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এবং সেই কারণেই অন্তত তিনজনকে হিংসার বলি হতে হয়েছে।
𓆉এরই পাশাপাশি, নিজের রুজু করার মামলায় আইনজীবী ঝা মুর্শিদাবাদ জেলার সেই সমস্ত বাসিন্দা, যাঁরা হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ও পুনর্বাসন করানোরও দাবি তুলেছেন।
🌊আইনজীবী ঝা-এর বক্তব্য হল, গত ১২ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় হিংসার যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, তার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা উচিত। এবং সেই সিট-কে কাজ করতে হবে আদালতের নজরদারিতে। তাঁর আরও দাবি, এই হিংসার মধ্যে 'রাজনৈতিক' চরিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। পরবর্তীতে ওই আইনজীবী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'ওয়াকফ আসলে একটি অজুহাত মাত্র। হিন্দুরাই হলেন প্রকৃত লক্ষ্য। এই দুর্ভোগ এবার শেষ হওয়া দরকার।'
𓃲সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনপত্রে আইনজীবী ঝা আরও উল্লেখ করেছেন, রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ যে হিংসা সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, তার প্রমাণ হল - মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দারা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে তাঁরা পাশের জেলা মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন!
🅷এই মামলায় আদালতকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপও করতে বলা হয়েছে। যাতে হিংসা আর ছড়াতে না পারে এবং যাঁরা এই হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষা করা যেতে পারে।
🍃প্রসঙ্গত, ওয়াকফ-প্রতিবাদের নামে ছড়িয়ে পড়া হিংসা নিয়ে ইতিমধ্য়েই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্য়ে রাজনীতির খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি তার চেনা ছকেই মেরুকরণের রাজনীতি আরও তীব্র করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস। দোষারোপ, পালটা দোষারোপ চলছে।
▨পরিস্থিতি এতটাই সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সোশাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে সকলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করতে হচ্ছে। কিন্তু, তারপরও ভাঙড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একের পর এক বাইক। সঙ্গে চলেছে ভাঙচুর, পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি।