🧜আমবেগুন নামটা শুনলেই যেন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। গ্রীষ্মের দুপুর, খেলার ফাঁকে ঘেমে-নেয়ে বাড়ি ফেরা, আর রান্না করে রাখা মায়ের বানানো আমবেগুন। গ্রীষ্মকালে এর চেয়ে ভালো খাবার আর হয় না। এইভাবে বানিয়ে খেলে হাত চাটবেন সকলে।
আমবেগুন কীভাবে তৈরি হয়
💦আমবেগুন বানানো খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া। অল্প কাঁচামালেই এটি বানানো সম্ভব।
উপকরণ:
- কাঁচা আম – ১টা মাঝারি আকারের (পাতলা করে কাটা)
- বেগুন – ১টা মাঝারি আকারের (চৌকো করে কাটা)
- সরষের তেল – ২ টেবিল চামচ
- শুকনো লঙ্কা – ২ টো
- সরষে বাটা – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – আধা চা চামচ
- নুন – পরিমাণমতো
- চিনি – সামান্য (ইচ্ছা অনুযায়ী)
- জল – প্রয়োজনমতো
আরও পড়ুন - ꦡদুধ, নারকেলের সেরা স্বাদে ভরপুর, পয়লা বৈশাখে ঘরে বানান জিভে জল আনা এই মিষ্টি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে তেলে শুকনো লঙ্কা ভেজে নিন। এরপর কাটা বেগুন দিয়ে হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
২. এবার কাঁচা আমের টুকরো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে সরষে বাটা, হলুদ, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে দিন।
৩. অল্প জল মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
৪. যখন আম নরম হয়ে আসবে, তখন ভাজা বেগুন দিয়ে ২-৩ মিনিট ঢেকে রাখুন।
𝓰৫. রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।
🍒এই রেসিপিটি গ্রাম বাংলার বহু পুরনো। অনেকেই এই পদটি রান্নার করার সময় কষি আম ব্যবহার করে থাকেন। এতে স্বাদ আরও বাড়ে এবং এই রেসিপিটি ঝটপট রান্না করা যায় এবং স্বাদে
𓆏টক-নরম ও ঝাল-মিষ্টির এক সুন্দর ভারসাম্য তৈরি করে। এটি হালকা তরকারি তাই অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলা না থাকায় পেটও ভালো রাখে।
আরও পড়ুন - ⭕ছোট ঘরও নজর কাড়বে সকলের! ৩-৫-৭ রুলে করুন অন্দরসজ্জা, খরচ ভীষণ কম
𝔍কাঁচা আম হজম শক্তি বাড়ায় এবং পাকস্থলীর অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে। বেগুনে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। কাঁচা আমে ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেগুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা আম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই সুস্বাদের পাশাপাশি এটি উপকারীও বটে।