চলতি মাসের শেষের দিকে রটন্তী কালী পুজো। অন্যান্য কালী পুজোর মতোই এই কা🌳লীর পুজোও মহাসমারোহে আয়োজিত হয়। কিন্তু রটন্তী কাꩲলীর উৎপত্তি কীভাবে? কী বলছে পুরাণ? জানা যায়, রটন্তী কালীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবনলীলার একটি কাহিনি।
আরও পড়ুন - জল খাওꦗয়ার পরেই এই ৫ ঘটনা ঘটে আপনার শরীরে? কিডনি খারাপ হওয়ার লক্ষণ হতে ♋পারে
রটন্তী কালী নাম কেন
রটন্তী কালীর নামে রটন্তী শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ কোনওকিছু রটে যাওয়া বা প্রচারিত হওয়া। কথিত আছে, এই দিনেই মা দূর্গার উগ্রকেশী করাল রূপ মা কালীর দেবীমাহাত্ম্য ত্রিলোকজুড়ে রটে গিয়েছিল। তবে রটনার নেপথ্যে আরও একটি তত্ত্ব খাঁড়া করা হয়। সেই তত্ত্বের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন মহাভ𓆏ারতের অন্যত🐼ম নায়ক দেবকীপুত্র শ্রীকৃষ্ণ।
বৃন্দাবনে আদ্যাশক্তির আবির্ভাব
শাস্ত্রমতে, বৃন্দাবনে তꦚখন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে প্রেমলীলায় মত্ত ছিলেন রাধা। একদিন অপরাহ্নে (অর্থাৎ দুপুরে) গোপিণীরা বাঁশির অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পান। সকলে সেই সুর লক্ষ করে দৌড়ে যান উৎস সন্ধানে। গিয়ে দেখতে পান সামনেই ইষ্টমূর্তি। শ্রীরাধাই স্বয়ং আদ্যাশক্তি। গোপিণীরা সেইদিনই সে কথা অনুধাবন করেন। মনে করা হয়, ওই দিনের কাহিনি ধরেই সূত্রপাত রটন্তী কালীর পুজোর।
আরও পড়ুন - বয়সন্♔ধিতে অনেক কিশোর-কিশোরীই ভোগে ব্রণর সমস্যায়, কী করলে ত্বক হবে মসৃণ
দেবী ছিন্নমস্তার কাহিনি
তবে রটন্তী কালীর পুজোয় পাওয়া যায় তন্ত্রের অনুষঙ্গও। তন্ত্রশাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে দশমহাবিদ্যার কথা। দশমহাবিদ্যার অন্যতম ভয়াল দেবী হলেন ছিন্নমস্তা। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, এই তিথিতেই দেবী ছিন্নমস্তার আব🐬ির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তাঁর সহচরীদের খিদে মেটানোর জন্য এই তিথিতেই স্বমুণ্ড ছেদ করেন। ছেদিত অংশ থেকে বেরিয়ে আসা তীব্র রক্তস্রোত তিনটি ধারায় উৎস⛄ারিত হয়েছিল।
কবে রটন্তী কালী পুজো?
মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতে এই পুজো হয়। অমাবস্যা তিথির একদিন আগে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রটন্তী কালীপুজোর এটাই মাহাত্ম্য। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে রটন্তꦿী কালী পুজো পড়েছে ২৮ জানুয়ারি। চতুর্দশী তিথি আগের দিন ২৭ জানুয়ারি রাত্রি ৭টা ৪৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছ✱ে এবং শেষ হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি ৭ টা ৩১ মিনিটে।