𓆏 মায়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে বেজায় বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দিল মায়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি।
ꦫবাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই অনুসারে, মোট চারটি বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি। তাতে অন্তত ৪০ কোটি টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে) পণ্য বোঝাই করা রয়েছে।
🐽বাংলাদেশের অন্যতম দৈনিক কালের কণ্ঠ - এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহাদুর। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, 'জাহাজ চারটিকে নাফ নদের ওপারে মংডুর খারাংখালি খালে নিয়ে নোঙর করতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মি। জাহাজে আমার আমদানি করা পণ্যও রয়েছে।'
𒈔জানা গিয়েছে, মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফের স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ওই চারটি পণ্যবাহী জাহাজ। নাফ নদের ওপারে মংডুর খারাংখালি খালে ওই জাহাজগুলিকে নোঙর করতে বাধ্য করে আরাকান আর্মি। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মহলে। তাদের তরফে পেশ করা তথ্য অনুসারে, টেকনাফের জেটিঘাটের অপর পাড়ে মায়ানমার সীমান্ত বরাবর পৌঁছতেই ওই জাহাজগুলিকে আটক করে আরাকান আর্মি।
✅বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দফায় দফায় চারটি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করা হয়েছে। প্রথমে গত বৃহস্পতিবার দু'টি জাহাজ আটক করে আরাকান আর্মি। পরে গত শুক্রবার আরও দু'টি জাহাজ আটকে দেয় তারা।
🃏সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সম্পর্কে বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষায় নিযুক্ত বিজিবি-কে অবহিত করা হয়েছে। আটক জাহাজগুলিকে যাতে আরাকান আর্মির হাত থেকে মুক্ত করে আনা যায়, বিজিবি-এর পক্ষ থেকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
♑প্রসঙ্গত, আরাকান আর্মি নিয়ে আগেই বাংলাদেশের মাথাব্যথা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের আর এক পড়শি দেশ হল মায়ানমার। যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। গণতন্ত্র শিকেয় তুলে সেদেশে রাজত্ব করছে জুন্টা সরকার। আর এই সরকারকে উৎখাত করার ব্রত নিয়েই বিদ্রোহ শুরু করেছে আরাকান আর্মি।
🧜বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই আরাকান আর্মি নাকি দুর্ধর্ষ। এদিকে, তারাই এখন বাংলাদেশ লাগোয়া মায়ানমার সীমান্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। তথ্য়াভিজ্ঞ মহলের দাবি, যদি কোনও কারণে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান কেয়ারটেকার প্রশাসন সংঘাতে জড়ায়, তাহলে বাংলাদেশেরই সমস্য়া বাড়বে। এই প্রেক্ষাপটে আরাকান আর্মির কবল থেকে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজগুলি কীভাবে উদ্ধার করা হয়, এখন সেটাই দেখার।