ꦿ ভারী তুষারপাত চলছে সিকিমে। বরফে ঢেকে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। বিশেষ করে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র যেমন নাথুলা পাস এবং সোমগো লেকের রাস্তা যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গেল সিকিমের একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। রাজ্যের পর্যটন বিভাগ অস্থায়ীভাবে নাথুলা এবং সোমগো হ্রদ দেখার অনুমতিপত্র ইস্যু করা স্থগিত করেছে। এছাড়াও, পর্যটকদের পরিস্থিতির নজরদারি রাখার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: 𓄧এবার দার্জিলিংয়ের তুষারপাতে নামল পর্যটকের ঢল, বছরের শেষে প্রবল ঠাণ্ডা শৈলশহরে
ཧঅনেক পর্যটক প্রতি বছর হিমশীতল পরিবেশের সাক্ষী হতে এবং তুষারপাত উপভোগ করতে সিকিম ভ্রমণ করেন। দুর্ভাগ্যবশত, হঠাৎ রাস্তা বন্ধ হওয়ার কারণে হাজার হাজার পর্যটক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ভারী তুষারপাতের ফলে এই রাজ্যে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেক কমে গিয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনভর ভারী তুষারপাত হয়েছে উত্তর সিকিম জুড়ে। একাধিক রাস্তায় পুরু বরফের স্তর জমেছে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। থুলখোলায় কালো বরফের স্তর জমেছে।
প্রসঙ্গত, নাথুলা পাসꦍ হল সিকিমের জনপ্রিয় স্থানগুলির একটি। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এটি হল সিকিমের অন্যতম পর্যটন স্থান। ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থিত এই পর্বত গিরিপথটি প্রাচীন সিল্ক রুটের একটি অংশ। পাসটি তুষার আচ্ছাদিত চূড়া এবং রুক্ষ ভূখণ্ডের নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। অ্যাডভেঞ্চারে উৎসাহী এবং প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এটি খুবই আকর্ষণের। নাথুলা পাস দেখার সময়, পর্যটকরা কাছেই অবস্থিত বাবা হরভজন সিং মন্দিরও দেখতে পারেন। এটি ২৩তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সিপাহী হরভজন সিংকে উৎসর্গ করা একটি শ্রদ্ধেয় স্থান।
সোমগো লেক বা ছাঙ্গু লেকꦬও বাবা হরভজন সিং মন্দির থেকে অল্প দূরে অবস্থিত। এই হিমবাহী হ্রদটি নির্মল, স্বচ্ছ জলের জন্য বিখ্যাত। সোমগো হ্রদ ভারতের সবচেয়ে সুন্দর এবং উচ্চতায় অবস্থিত হ্রদগুলির মধ্যে একটি। স্থানীয় ভুটিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন সোমগো লেককে পবিত্র বলে মনে করেন। শুধু তাই নয়, শীতকালে এই হ্রদের জল সম্পূর্ণরূপে বরফে পরিণত হয়। প্রাইমুলাস এবং রডোডেনড্রনের মতো প্রাণবন্ত আলপাইন ফুল রয়েছে হ্রদের চারপাশে। যা সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।