কলকাতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার রাডারে এবার কলকা🐭তা (Nasa News)। নেপথ্যে সম্ভাব্য একটি দুর্ঘটনা। যা ঘটতে চলেছে আর ৭ বছর পর, ২০৩২ সালে। ওই সালেই পৃথিবীর গতিপথের সঙ্গে মিশে যেতে পারে একটি গ্রহাণুর গতিপথ (Earth Asteroid Collision Risk)। ‘2024 YR-4’ নামের ওই গ্রহাণু আছড়ে পড়তে পারে কলকাতার বুকে। সম্প্রতি গ্রহাণুর গতিপথ হিসেব করে পৃথিবীর বুকে একটি রিস্ক করিডর তৈরি করা হয়েছে। রিস্ক করিডরের অর্থ সম্ভাব্য যে যে স্থানে গ্রহাণু আছড়ে পড়তে পারে, তার একটি রেখা আঁকা। সেই রেখাতেই জ্বলজ্বল করছে মুম্বই ও কলকাতা (Science News)!
রিস্ক করিডর কী?
রিস্ক করিডর একটি কাল্পনিক রেখা। কোনও গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে পড়লে সেটি যে যে স্থানে আছড়ে পড়়ার ঝুঁকি থাকে, সেই স্থানগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখা দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। এই সম্পূর্ণ রেখাটিকে বলা হয় রিস্ক করিডর। ‘2024 YR-4’ গ্রহাণুর রিস্ক করিডরে রয়েছে ভারতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শꩵহর - মুম্বই ও কলকাতা। সম্ভাব্য সংঘর্ষের তারিখও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। বছরের শেষ দিকে বড়দিনের ৩ দিন আগে ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর আছড়ে পড়তে পারে ওই গ্রহাণু।
আরও পড়ুন - সোনার মতোই দামি! বিরল অর্কিডের🃏🐓 খোঁজ বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায়, কথা বলল HT বাংলা
সাত কোটি বছর আগে…
পৃথিবীর উপর কোনও গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। সাত কোটি বছর আগেও পৃথিবীর উপর এমন একটি গ্রহাণু আছড়ে পড়ে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই বিপর্যয়ের জেরেই পৃথিবী থেকে ডাইনোসর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ডাইনোসর ছাড়াও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর ৯০ শতাংশ প্রাণী। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের কথায়, সংঘর্ষের আশঙ্কা যত জোরালো হচ্ছে, ততই বাড়ছে এই চিন্তা। দুর্ঘটনার অভিঘ🍌াত থেকে স্পষ্ট হবে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন - বাবা কৃষক, মা অঙ্গনওয়াড়��িকর্মী, দিল্লি জয় করল মধুমেহ নিয়ে বঙ্⭕গপুত্রের গবেষণা
আছড়ে পড়ার আশঙ্কা কতটা?
১৮ ফেব্রুয়ারি নাসার জেট প্রপালসান ল্যাবরেটরি থেকে প্রথমে ৩.১ শতাংশ ইমপ্যাক্ট প্রোবাবিলিটির (ক্ষতির সম্ভাব্য ঝুঁকি) কথা জানানো হয়। নাসার ইতিহাসে এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকি। তবে পরেরদিন অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি এই ঝুঁকির পরিমাণ কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হয়েছে।𒐪 পরিসংখ্যানের পাশাপাশি একটি রিস্ক করিডরের ছবিও প্রকাশ্যে এনেছে নাসা।