একদিকে যখন ভারতকে হুমকি দেওয়ার কোনও সুযোগ ছাড়ছে ইসলামাবাদ, তখনই আবার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর উত্তাল বিক্ষোভে। রবিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে চিন-পাকিস্তান সংযোগকারী কারাকোরাম হাইওয়ে অবরুদ্ধ এই বিক্ষোভের জেরে। কী নিয়ে বিক্ষোভ? তা জানার আগে দেখা যাক, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তরফে ভারতের জন্য এসেছে কোন হুমকি?
কী বলেছেন আসিফ আলি জারদারি?
সদ্য ইসলামাবাদে আইওয়ান-এ-সদরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। পাকিস্তানের ‘সামা টিভি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি পরবর্তী অবস্থা নিয়ে দুজনের আলোচনা হয়। সেখানেই পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেন,' এই শতাব্দীর সামরিক ইতিহাসে পাকিস্তান একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় জাতি কিন্তু যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে চুপ করে থাকব না। প্রতিক্রিয়া আগের চেয়েও শক্তিশালী হবে।' ভারতকে দেওয়া হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, আগামীতে আগ্রাসন হলে ' আগের থেকে আরও বড় সারপ্রাইজ' দেবে পাকিস্তান।
( ঘুম থেকে ওঠেন ভোর ৬টায়, 'ব্যস্ত' ৭০ বছর বয়সী জয়শংকর সকালে কতক্ষণ হাঁটেন? খেলেন স্কোয়াশ.. রইল রুটিন)
( ২ ঘণ্টা ব্যায়াম, ৬ ঘণ্টার ঘুম!ওজন কমানো থেকে ডায়াবেটিসের লড়াইয়ে অমিত শাহের ফিটনেস মন্ত্র)
পিওকে উত্তাল বিক্ষোভে, অবরুদ্ধ চিন সংযোগকারী হাইওয়ে:-
এদিকে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি যখন ভারতকে টার্গেট করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ তুঙ্গে। পিওকের গিলগিট-বালতিস্তানে সদ্য বাসিন্দারা বিক্ষোভে নামেন। টানা তিন দিন ধরে পাকিস্তান-চিন সংযোগকারী কারাকোরাম হাইওয়ে থাকে অবরুদ্ধ। স্থানীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এই বিক্ষোভে নামে। সোস্ট ড্রাই পোর্টে চিন থেকে আমদানি করা চালানের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স্থগিত (যা গত ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে) করার কারণে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। এছাড়াও শাহবাজ সরকারের বাণিজ্য নীতিরও প্রতিবাদ জানান তাঁরা। বিক্ষোভকারী ব্যবসায়ীদের মতে, ডিসেম্বর থেকে বন্দরে কমপক্ষে ২৫৭টি চালান আটকে আছে। যার ফলে তাঁদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পণ্যগুলির জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি পোর্ট চার্জ। বহু পণ্যের ‘এক্সপায়ার্ড ডেট’ পেরিয়ে যাচ্ছে বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। গত শুক্রবার থেকে সেখানে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যার ফলে সেখানে পর্যটনও বেশ দাক্কা খেয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’র খবর অনুযায়ী, স্থানীয়রা একটি অবস্থান বিক্ষোভ করেন এবং তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। 'হুনজা'র সংগঠনের নাগরিক সমাজের সদস্য, ব্যবসায়ী এবং পণ্ডিতরাও বিপুল সংখ্যায় বিক্ষোভে যোগ দেন।