গাড়ির ধাক্কায় জখম হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিওদেওয়ার ঘোষপুকুরের কমলা ও গঙ্গারাম চা বাগানে। বাগডোগরা-ঘোষপুকুর জাতীয় সড়ক পারাপার করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় জখম হয় চিতাবাঘটি। রাতে সড়কে চিতাবাঘকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ, ঘোষপুকুর ও বাগডোগরা বনদফতর এবং এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘটিকে চাবাগানের নালা থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: জঙ্গ𒀰লে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুর্লভ কালো লে෴পার্ড, বাংলার পড়শি রাজ্য ফেলে দিল হইচই
গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের আহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়𓃲। এর আগেও বহু এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে পূর্ণবয়স্ক এই চিতাবাঘটি গাড়ির ধাক্কাতেই আহত হয়েছে। উদ্ধার করার পর চিতাবাঘটিকে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগান থেকে বেরিয়ে রাস্তাꦯ পার হচ্ছিল চিতাবাঘটি। সেই সময়ে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে বাঘটিকে ধাক্কা মারে। এরফলে গাড়ি ধাক্কায় চিতাবাঘটি ছিটকে পরে রাস্তার পাশে। সেটি জখম অবস্থায় পড়ে থাকলে পথচলতি কিছু মানুষের নজরে আসে। তারাই পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ এবং বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তারা সেখানে গেলে চিতাবাঘটি তাদের দেখে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও চিতাবাটিকে উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষ পুলিশ এবং বনকর্মীরা যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে।জানা গিয়েছে, বনকর্মীদের এলিফ্যান্ট স্কোয়াড জাল পেতে আহত চিতাবাঘকে ধরে। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সাফারি পার্কে। ত🦋বে চিতাবাঘটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে এলিফ্যান্🔯ট স্কোয়াডের এক আধিকারিক জানান, চিতাবাঘটি গুরুতর আহত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত চিতাবাঘ চা বাগান থেকে বেরিয়ে রাস্তা পারাপার করে থাকে। তাছাড়া এখানে দ্রুত গতিতে গাড়িও চালানো হয়। তারফলে প্রায়ই গাড়ি ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে বন দফতরের তরফে সাধারণ মানুষ এবং গাড়ির চালকদের উদ্দেশ্যে সচেতনামূলক প্রচার করা হয়েছে। তারফলে এরকম ঘটনা ঘটছে। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেবিষয়ে লক্ষ রাখা হবে বলে এক বন আধিকারিক জানিয়েছেন।