🤪 স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাটি বর্ধমানের একটি স্কুলের। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক দিনের পর দিন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে আসছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও তাঁরা এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাই শেষপর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: 🍌তোমার কি ব্রেক আপ হয়েছে? আমাদের সঙ্গে এসো! স্কুটারে করে এসে তরুণীর শ্লীলতাহানি
𒐪ওই শিক্ষক দিনের পর দিন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই শিক্ষক ছাত্রীকে নানা অছিলায় খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে স্পর্শ করতেন। এর আগে ছাত্রী প্রতিবাদ জানালে তাঁকে মারধরের হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষক। ২ এপ্রিল একইরকম ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সমস্ত কথা জানায়। ঘটনার কথা জানতে পেরেই অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোনও পদক্ষেপ করেননি, উল্টে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীকে হুমকি দেন।
🐭এছাড়াও অভিযোগ ওঠে, স্কুলের তরফে স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলা হয়। পরে অন্যান্য অভিভাবকেরা বিষয়টি জানতেই শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবার যৌথভাবে অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের কাছে যান। এরপরেই তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে ওঠেন। কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন তাঁরা। খ
ღবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি ছাত্রীর মাথায় হাত রেখেছিলেন ভালোবেসে। এর বাইরে কিছু নয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি মানতে চাইছেন না অভিভাবকরা। পুরো বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।