ꦓএকেবারে সিনেমার মতো। ইসলামপুর কোর্ট থেকে প্রিজন ভ্য়ানে আসামীদের চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রায়গঞ্জের দিকে। এমন সময় পরপর গুলি। এক আসামী শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপর পালিয়ে যায়। পাঞ্জিপাড়ার থানার ইকরচলা কালীবাড়ি এলাকার এই ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। এতদিন তৃণমূলের অন্দরে লড়াইয়ের কথা জানত বাংলা। সেখানে গুলি চলে। এবার একেবারে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি।
দুজন পুলিশ 🔯কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন অভিযুক্ত চম্পট দিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্ভবত বিহারের দিকে যেতে পারে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে। অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম যেতে পারে এমন সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চলছে। ড্রোন দিয়েও চলছে তল্লাশি।
📖আইজি নর্থবেঙ্গল রাজেশ যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নেচার্স কলে যাওয়ার কথা বলেছিল। তারপরই ঘটনাটি ঘটে।
🏅পুলিশ জানিয়েছে কম্বলের নীচে বন্দুক লোকানো ছিল। সেটা থেকেই গুলি চালিয়েছে। তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। একাই পালিয়েছে। হেঁটেই পালিয়েছে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
সাজ্জাক বার বারই বলছিল সে শৌচাগারে যেতে চায়। এরপর পাঞ্জিপাড়ার কাছে পুলিশ গাড়ি থামায়। এরপর সাজ্জাক গাড়ি থেকে নামে। তারপর শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পরপর গুলি। এবার প্রশ্ন বন্দুক কোথা থেকে এল?
♛সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পুরোপুরি মেলেনি। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান সাজ্জাকের কাছেই সম্ভবত বন্দুক ছিল।
গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
✨ইসলামপুর পুলিশ জেলার এসপি জবি থমাস জানিয়েছেন, ইসলামপুর কোর্ট থেকে রায়গঞ্জে ফেরার সময় পুলিশের উপর হামলা করেছিল। তিন মহিলা অভিযুক্ত ও একজন পুরুষ অভিযুক্ত ছিল। লেডি কনস্টেবলও ছিলেন। পর্যাপ্ত ফোর্স ছিল। কৌশলে পুলিশকে গুলি করে পালায়। কোথা থেকে কী করে অস্ত্র পেল সেটা দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের বুলেট লেগেছে। ২০১৯ সালের করণদিঘির মার্ডার কেসের আসামী ছিল ওই ব্যক্তি। বিহার পুলিশের হেল্প নিচ্ছি। সব নাকাকে সতর্ক করেছি। সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।
এবার প্রশ্ন বন্দুক কোথা থেকে এল?
𓆏প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই আসামীর কাছে হয়তো আগে থেকেই বন্দুক ছিল। সেটা থেকেই গুলি চালিয়েছে সে। কিন্তু একজন আসামী কাছে বন্দুক কীভাবে থাকতে পারে? তবে কি কোথাও কোনও তল্লাশি হয় না?
ꦰগোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। সেই সঙ্গে পুলিশের প্রিজনভ্য়ানের যে চালক ছিলেন তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অন্দরেই অপরাধীর কোনও সোর্স রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।