নারিন ম্যাজিকে চিপকের মাঠে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকাতেও লাফꦉ মারল নাইটরা। তাঁ💯রা যে চেন্নাইয়ের মাঠে গিয়ে এমন পারফরমেন্স করবেন,সেটা হয়ত কোনও নাইটভক্তই ম্যাচের আগে ভাবতে পারেননি। কিন্তু রাহানে-ব্র্যাভোদের বুদ্ধিমত্তায় সেটাই করে দেখাল কেকেআর। আর সেটার ফলে সর্বকালীন লজ্জার মুখে পড়ল চেন্নাই। এর আগে কখনও এত বল বাকি থাকতে হারেনি সিএসকে।
আসলে কেকেআর এই ম্যাচে টস জিততেই শুরুতে বোলিং নেয়। আর তখনই রাহানে জানিয়ে দেন এই ম্যাচে তাঁরা তিন স্পিনারে যাচ্ছেন। অর্থাৎ চিপকে রাহানে নিজে দীর্ঘদিন খেলেছেন, তাই বর্ষিয়ান ম🥃ইন আলি যিনি নিজেও সিএসকে-তে খেলেছেন তাঁকে প্রথম একাদশে আনেন নাইট অধিনায়ক। সেই মইন প্রথম ধাক্কাটা চেন্নাইকে দেন ♋ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে।
এরপর নারিনের স্পিনের সামনে তাসের ঘরের মতোꦡ ভেঙে যায় চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ১৩ রানে ৩ উইকেট নেয় সুনীল নারিন। তিনি আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠী, রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনিকে মাত্র ১ রানের মাথায় আউট করে দেন নারিনই। হর্ষিত রানা এবং বꦺরুণ চক্রবর্তীও দুটি করে উইকেট নিলেন। মাত্র ১০৩ রানেই আটকে যায় সিএসকের ইনিংস।
ধোনির কপালের জোরে চেন্নাই সুপার কিংসের ভাগ্য কিন্তু বদলালো না। ৯ উইকেটে সিএসকে ১০৩ রান করে নির্ধারিত ২০ ওভারে। শিবম দুবে ২৯ বলে ৩১ এবং বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৯ করেন। বাকিরা তো দেখে মনে হল টেস্ট ক্রিকেট খেললেন♍। তাই ধোনির ক্যাপ্টেন্সির জোরে ম্যাচ জেতা হল না আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের।
মাত্র ১০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোনও সময়ই অপচয় করেনি নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার। ৪.১ ওভারের মাথায় ডি কক যখন আউট হলেন তখন নাইট রাইডার্সের স্কোর ৪৬। এরপর ম্যাচ জিততে তাঁদের লাগল মাত্র ১০.১ বল। অর্থাৎ ৫৯ বল বাকি থাকতেই💝 ম্যাচ পকেটে পুড়ল নাইট রাইডার্স।
সুনীল নারিন একটু জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন। আজকে বোধহয় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একা হাতেই সিএসকে-কে শেষ করবেন। তাই তো ৩ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ওপেন করতে নেমে ১৮ বলে ৪৪ রান করলেন তিনি। রাহানে ১৭ বলে ২০ এবং রিঙ্কু সিং ১২ বলে ১৫ রান না করলꦚে, আরও দ্রুত ম্যাচ জিতত কেকেআর। শেষ পর্যন্ত♚ ৮ উইকেটে তাঁরা ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে ওপরের দিকে উঠে এল।
এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্💎স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২০২০ 💛সালে দুবাইয়ের শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল ১০ ওভার বাকি থাকতে জিতেছিল। সেবার আরসিবি ৯৩ রান করেছিল, আর কেকেআর ৬০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল।