বিরাট কোহলি, ফিল সল্ট, লিয়ান লিভিংস্টোনরা যখন প্রায় একরাশ লজ্জার মুখে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কার্যত ঠেলে দি💖য়ে একে একে ফিরে গিয়েছিলেন সাজঘরে, ৪২ রানেই পড়ে গিয়েছিল ৭ উইকেট, সেই পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে ওঠেন টিম ডেভিড। তিনি যদি ২৬ বলে ৫০ রান না করতেন, তবে আরও খারাপ দশা হত আরসিবি-র। ঘরের মাঠে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হত বিরাট বাহিনীকে। মূলত ডেভিডের জন্য সেই লজ্জার মুখে পড়তে হল না বেঙ্গালুরুর দলকে।
একেই বৃষ্টিতে ওভার কমেছে। ২০ ওভারের বদলে খেলা হচ্ছে ১৪ ওভারে। তার উপর খেলার সময় আরও সংক্ষিপ্ত করে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ঘরের মাঠে আরও একবার ব্যর্থ হল আরসিবি-র ব্যাটিং লাইন-আপ। এদিন চিন্নাস্বামীতে আইপিএলের ৩৪তম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তারা। এদিন ওভার কমায়, পাওয়ার প্লে খেলা হয়েছিল চার ওভারের। এই চার ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট আরসিবি হারিয়ে বসে থাকে। শেষমেশ তারജা ৯ উইকেট হারিয়ে করে ৯৫ রান।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং
এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্ট। প😼্রথম ওভারেই ফিল সল্টকে ফেরান আর্শদীপ সিং। ৪ বলে ৪ করে আউট হন ফিল সল্ট। এর পর ইনিংসের তৃতীয় ওভার এবং আর্শদীপের দ্বিতীয় ওভারে বিরাܫট কোহলিও আউট হয়ে যান। আর্শদীপের বলে মার্কো জানসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। তাঁর সংগ্রহ ৩ বলে মাত্র ১ রান। চতুর্থ ওভারে আবার লিয়াম লিভিংস্টোনকে ফেরান জেভিয়ার বার্টলেট। তিনি করেন ৬ বলে ৪ রান।
এর পরেও উইকেট পড়া থামেনি। নির্দিষ্ট ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়তে থাকে তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ। শুধু টিম ডেভিডই যেটুকু অক্সিজেন দিয়েছেন। তিনি আরসিবি-র হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন। তাঁর সংগ্রহ ২৬ বলে ৫০ রান। মেরেছেন তিনটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার। তা🧜ঁর মধ্যে শেষ ওভারেই হরপ্রীত ব্রার-কে মেরেছেন তিনটি ছয়। এই তিনটি ছক্কা না হলে, বেঙ্গালুরুর হাল আরও শোচনীয় হত।
আরও পড়ুন: সঞ্জু কি RR vs LSG ম্যাচ খেলতে পারবেন? নাকি ফের বদলাবে রাজস্থানের অধিনায়ক? আপডেট দিলেন🦩 কোচ দ্রাবিড়
এছাড়া রজত পতিদার ১৮ বলে ২৩ রাඣন করেছেন। বাকিরা কেউ এক অঙ্কের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। এদিন টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার- সবাই ব্যর্থ। ডেভিডের সৌজন্যেই ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৫ রান করে আরসিবি। এই ৯৫ রানের মধ্যে ৫০ রানই টিম ডেভিডের। পুরো দল মিলে করেছে মাত্র ৪৪ রান।
পঞ্জাবের হয়ে সব বোলারই দুরন্ত বোলিং করেছেন। তবে সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করেছেন মার্কো জানসেন, তার 🦄পর যুজবেন্দ্র চাহাল। জানসেন ৩ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। যুজি আবার ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে আর্শদীপ নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন হরপ্রীত ব্রার। জেভিয়ার বার্টলেট একটি উইকেট নিয়েছেন।