বরাবরই মা-বাবার সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে দেখা গিয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। তাঁর যখন বয়স মাত্র চার, তখন আলাদা হয়ে যান বাবা উৎপল🐼েন্দু চক্রবর্তী ও মা শতরূপা সরকার। পরবর্তীতে, যখন উৎপলেন্দু-র অসুস্থতার সময় ঋতাভরী, তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদার উপর ‘দোষ চাপে’ অসুস্থ বাবাকর খোঁজ না নেওয়ার বা আর্থিক সাহায্য না করার, তখন সরব হয়েছিল মা-মেয়ে। সামনে এনেছিলেন শতরূপা বৈবাহিক জীবনে হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা।
সম্প্রতি স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী পডকাস্টে বাবা ও মায়ের মধ্যে হওয়া সেই ঝামেলা, এমনকী তাঁর গায়েও উৎপলেন্দুর হাত তোলা নিয়ে কথা বলেন ঋতাভরী। সেই ভিডিয়োতেই আলটপকা মন্তব্য করে ব🐼সেন এক মহিলা। লেখেন, ‘তোমার মা দ্বিতীয় বউ༒ ছিলেন’। আর তা চোখে পড়তেই কড়া জবাব দেন ঋতাভরীও। তিনি সেই কমেন্টের জবাবে লেখেন, ‘সেটা কি ওঁকে অধিকার দিয়েছিল আমার মা বা আমাদের উপর অত্যাচার করার? এই যুক্তিগুলো কোনোদিন বুঝব না। কটা আঙুল ঘুরিয়ে দুটো কমেন্ট বা মন্তব্য করা আসলেই খুব সহজ।’ দেখা যায়, অন্য নেটিজেনরাও ঋতাভরীকে পরামর্শ দেন, এরকম কোনো মন্তব্যকে অদেখা করার।
আরও পড়ুন: সারেগাম❀াপা জয়ী অতনুর গানে মুগ্ধ ব্রততী! খুদের প্রশংসায় ফেসবুকে ক🐻ী লিখলেন আবৃত্তিকার

ঋতাভ𒁃রীকে এই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমার বায়োলজিক্যাল বাবা, আমি ꧃তখন এতটাই ছোট, তখন বয়স ওই ৩-৪ হবে, মায়ের ভাষায় ওইটুকু বাচ্চার গায়ে জায়গা কোথায় মারবার? সেটা করা থেকেও যখন উনি বিরত থাকতে পারলেন না, তখন মাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মাকে বেরিয়ে আসতে হয়। আমার দাদু-দিদা ভীষণভবে সাপোর্ট করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ঘুমিয়ে কাদা অনুষ্কা? সব দোষ নাকি ১ বছরের ছেলে অক✨ায় কোহলির
‘আমার মা ꦿবারে বারে বেরিয়া আসতেন। আমার বাবা আবার এসে ক্ষমা চাইতেন। মা ভালো তো বাসত, মনে করত🤡েন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। এবার শুধরে যাবে। কিন্তু সেটা হত না। আবার যেই কে সেই। উনি ছিলেন ক্রনিক অ্যালকোহলিক। ওই জন্য মদ নিয়ে, আমার বিশাল একটা সমস্যা আছে। যে কোনো পার্টিতে যখন হুস্কির আসরটা শুরু হয় না, আমি নিজেকে আসতে আসতে গুটিয়ে নেই। এখনও সহ্য করতে পারি না। ওই অ্যালকোহল ট্রমাটা আমার কাছে এখনও খুব স্ট্রং। ওই গন্ধটাই কোথাও পেলে আমার খুব অস্বস্তি হয়।’
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বাবা উৎপলেন্দু প্রসঙ্গে ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, ‘লোকটাকে চোখেই দেখিনি। শুধু কথা শুনেছি। আমার মা আর আমার দিদিকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে সেগুলো শুনেছি। আর হালকা কিছু স্মৃতি আছে চার বছর বয়সের। তবে এখন আর কোনও অশ্লীল কথা বলতে চাই না। উনি অসুস্থ। ওঁর নামে খারাপ কিছু বলা, ইমেজ নিয়ে টানাটানি, ঝগড়া কিছুই চাই না আমি আর।’ যদিও পরবর্তীতে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর, না ফ♌েরার দেশে চলে গিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক।