প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখন কেমন? বাংল💯াদেশের কাছে নাকি সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন মার্কিন প্রতিনিধিরা! বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে এমনই একটি সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছে!
'কালের কণ্ঠ' অনুসারে, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং বিদেশ মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ভারত-বাংলাদেশ বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন মার্কিন প্রশাসনের দুই প্রতিনিধি - যথাক্রমে - ব্যুরো অফ ইস্ট এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফ﷽েয়ার্স-এর ডেপুটি অ্যাসি𝔉সট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু হেরাপ এবং ব্যুরো অফ সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট নিকোল চুলিক।
জানা গিয়েছে, আজ (বৃহস্পতিবার - ১৭ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুর ২টো বেজে ৩৭ মিনিটে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই দুই প্রতিনিধি ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ে পৌঁছন। তাঁরা সেখানেই๊ মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে। ꧑বলা হয়েছে, প্রোটোকল মেনে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করা হবে।
তবে, এই বৈঠജকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু আর্থিক বিষয় আলোচনার জন্য উত্থাপন করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেমন - সবার আগেই উঠতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া ট্যারিফ নীতির প্রসঙ্গ। ট্রাম্পের ট্যারিফ গুঁতোর কারণে অগামী দিনে বাংলাদেশি পণ্য, বিশেষ করে বাংলাদেশি পোশাক শিল্প বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের।
সেক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ কোনও সমঝোতায় আসতে পারে। যাতে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সস্তায় মার্কিন বাজারে বিক্রি করা সম্ভবপর হয়। এছাড়া, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সর🦋কার সারা দেশে যে সংস্কারমূলক কাজগুলি শুরু করেছে (মূলত প্রশাসনিক), সেই বিষয়েও আমেরিকার সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি, মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী প্রশাসন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মার্কিন সহায়তা চাইতে পারে।
অন𒀰্যদিকে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে𒐪 বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যু এবং প্রতিবেশী মায়ানমানরের পরিস্থিতি নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা করা হতে পারে। এক্ষেত্রে যেহেতু আঞ্চলিক নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই ঢাকা ও ওয়াশিংটন - দুই পক্ষই নিজ নিজ মতামত পেশ করতে পারে।
এছাড়াও, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর যে প্রক্রিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু করেছে, এদিনের বৈঠকে কথা হতে পারে তা নিয়েও। এরই সঙ্গে অনুমান করা হচ্ছে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন, সেই বিღষয়ে আলোচনা করতে চাইতে পা෴রেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, ইদানীং চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্য বেড়েছে। বিষয়টি আমেরিকার নজরও এড়ায়নি। বিশেষ করে﷽ মহম্মদ ইউনুস যেখানে নিজে চিন সফরে গিয়েছেন, সেখান থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন, তখন সেদিকে তো ট্রাম্প প্রশাসনকে খেয়াল করতেই হবে। তাই এদিনের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গেও উঠতে পারে।