মমতা বলেছিলেন - 'ওই আইন কার্যকর হবে না বাংলায়'। আর এর জবাবে এবার বিজেপি পালটা তোপ দাগল ওয়াকফ নিয়ে। এর আগে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় কার্যকর তে দেবেন না বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর হয় সিএএ। বহু মানুষ সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। সেবারও মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় হিংসা ছড়াতে দেখা গিয়েছিল। পরে মমতা নিজে রাস্তায় নেমে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সঙ্গে হিংসা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছিলেন সিএএ-বিরোধীদের। এবারও ওয়াকফের বিরোধিতায় সরব মমতা। দাবি করেছেন, বাংলায় এই আইন কোনও ভাবে কর্যকর হতে দেবেন না। তবে বিজেপি এই নিয়ে বলল, 'সংবিধান বিপদে রয়েছে।' (আরও পড়ুন: ꦕ'আমাদের বাঁচান', ওয়াকফ হিংসার আবহে BSF-এর সামনে হাতজোড় আবেদন সামশেরগঞ্জের)
আরও পড়ুন: ♛পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের DG-র সঙ্গে গভীর রাতে সাক্ষাৎ BSF কর্তার, বৈঠক শেষে সাফ বললেন…
𓆏ওাকফ নিয়ে মমতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেছেন, 'সাংবিধানিক ব্যবস্থায়, কোনও রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করা আইন বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করতে পারে না... এটা স্পষ্ট যে বাবাসাহেব আম্বেদকরের রচিত সংবিধানের প্রতি তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) কোনও শ্রদ্ধা নেই। ইন্ডি জোটের হাতে সংবিধান বিপদের সম্মুখীন...'
༺এর আগে ওয়াকফ হিংসার আবহে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মমতা এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, 'সব ধর্মের সকল মানুষের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনো অ-ধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। দাঙ্গা যারা করছেন তারা সমাজের ক্ষতি করছেন। মনে রাখবেন, যে আইনের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজিত, সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে। আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে বলেছি - আমরা এই আইনকে সমর্থন করিনা। এই আইন আমাদের রাজ্যে লাগুও হবে না। তাহলে দাঙ্গা কীসের? আরো মনে রাখবেন, দাঙ্গায় যারা উস্কানি দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা আমরা নেবো। কোনো হিংসাত্মক কার্যকলাপকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি। সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন - এই আমার আবেদন।'