হাতে সময় বলতে আর মাত্র দিন পনেরো। তার মধ্যেই সেরে ফেলত হবে সমস্ত প্রস্তুতি। আরꦍ, সেই কারণেই আগামিকাল (বুধবার - ১৬ এপ্রিল, ২০২৫) নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যে বৈঠকের আলোচ্য হল - দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন! যে উদ্বোধন করা হবে আসন্ন অক্ষয় তৃতীয়ায় - অর্থাৎ - আগামী ৩০ এপ্রিল।
সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে - এই বৈঠকে মমতা ছাড়াও রাজ্য প্রশাসন, 🍒পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের আমলা, আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন ইসকনের প্রতিনিধিরাও।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ আমলা - মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী বুধবারের বৈঠকে যোগ দেবেন। উপস্থিত থাকবেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। কারণ, মন্দির উদ্বোধনের অনেক আগে থেকেই দিঘা শহরের ভিতরে যান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমজনতা কীভাবে যাতায়াত করবে, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক - তাঁরা কীভাবে আসা-যাওয়া করবেন, সেই বিকল্প স্থির করতে পরিবহণ দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচ🔯না করা হবে।
উল্লেখ্য, এই মন্দির নির্মাণ করেছে রাজ্য সরকারি সংস্থা হিডকো। তাদের আধিকারিকদেরও বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের আদলেই দিঘার জগন্নাথ মন্দি♌র তৈরি করা হয়েছে। পুরীর নিয়ম মেনেই এখানেও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা রথ নির্মাণ করা 🧸হবে। তৈরি করা হবে চৈতন্য ফটক। এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে বুধবারের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
স্থির করা হয়েছে - উদ্বোধনের পরই এই মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। পুরীর মতো দিঘার মন্দিরেও বেশ কিছু আচ𒉰ার, রীতি ও নিয়ম পালন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। মন্দিরে🅷 প্রত্যহ ধ্বজা উত্তোলনের বন্দোবস্ত রাখা হবে। থাকবে বিশেষ ভোগের আয়োজন। এক্ষেত্রে দিঘার স্থানীয় মিষ্টান্নকে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই পুরো বিষয়গুলি নিয়ে ইসকনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আরও জানা গিয়েছে, দিঘায় জগন্নাথের একটি পুরোনো মন্দির আছে। সেটিকেই 'জগন্নাথের মাসির বাড়ি' হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
এছাড়াও, মন্দির উদ্বোধဣনের সময় দিঘায় বিপুল ভিড় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার জেরে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত শহরের ভিতরে টোটো পর্যন্ত চালানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সবটা যাতে ঠিক মতো চালানো যায়, তা নিয়ে পুলিশকর্তারা তাঁদের পরিকল্পনা ও প্রস্তাব বৈঠকে তুলে ধরবেন। মন্দির উদ্বোধনের দিন কোন দফতর কী দায়িত্বে থাকবে, সেটাও বুধবারের বৈঠকেই স্থির করা হবে।