আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। তাই ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে ধরে জেলে ঢোকানোর মতো কাজ করলেও এই মামলা 🀅এখন সিবিআই তদন্ত করছে। কারণ কলকাতা হা൲ইকোর্ট সেই নির্দেশই দিয়েছে। এই আবহে সঞ্জয় রায়ের পাশে দাঁড়ালেন না তাঁর দিদি। বরং ফাঁসি হোক ভাইয়ের এমন দাবিই করলেন। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এই অপরাধ করার অভিযোগে এখন সিবিআইয়ের হাতে আছে সঞ্জয় রায়। তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও তল খুঁজে পায়নি সিবিআই। একসপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। সিবিআই অফিসাররা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। এমনকী তদন্তে নতুন কোনও মোড় এসেছে তাও প্রকাশ্যে আনতে পারেননি। এমন অবস্থায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে সিবিআইয়ের উপর। একদিকে রাজনৈতিক চাপ, অপরদিকে বাংলার জনগণের চাপ। সাতদিন ধরে সিবিআই কী করল? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় বাংলার মানুষ। তবে এখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ধৃত ▨সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা বা লাই ডিটেক্টর টেস্ট করবে।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশকে সাহায্য করা হবে’, লালবাজার থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দিলেন দুই চিকিৎসক
কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। ক্রমাগত জনরোষ তৈরি হচ্ছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। এই আবহে এবার বোমা ফাটালেন ধৃতের দিদি। রাখিবন্ধনের দিন তিনি ভাই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। এই ঘটনার কথা তার দিদি সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনেছেন প্রথম। তারপর গোটা রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে চর্চা হয়েছে তাঁর ভাইয়ের নাম। এবার সঞ্জয়ের দিদি বলেন, ‘যদি ভাই দোষ স্ব🐭ীকার করে থাকে তাহলে ওর ফাঁসি হওয়া উচিত। ওর চারটে বিয়ে আমি জানতাম না। সংবাদমাধ্যম থেকে তা জানতে পেরেছি।’ এই সিভিক ভলান্টিয়ার আরজি কর হাসপাতালে কাজ করত।
এছাড়া অপরাধীর ফাঁসি চেয়ে পথে নামেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইকে ডেডলাইন বেঁধে দেন। অপরাধীকে ধরে তার ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সেখানে সিবিআই এখনও তেমন কিছু করতে পারেনি। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।🐲 যার শুনানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়ি, আরজি কর হাসপাতাল, লালবাজার সব জায়গায় গিয়েছে সিবিআই। নানা তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তেমন কিছু মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। আগামী ২৩ অগস্ট আদালতে তোলা হবে ধৃত সঞ্জয় রায়কে। তখন সিবিআই আদালতে দাঁড়িয়ে কি জানায় সেটাই দেখার।